জাপানের সুযোগ আছে বলেই ভয় বাংলাদেশের
দুটি সমীকরণ জাপানকে তুলতে পারে এশিয়া কাপ হকির সুপার ফোরে। এক. বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের বড় ব্যবধানের জয় এবং দুই. ভারতের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়।
রোববার বিকেল ৩ টায় মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে জাপানিরা প্রথম সমীকরণ মেলাতে চাইবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। প্রথম সমীকরণ মিললে দ্বিতীয়টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য। জাপান সুপার ফোরে উঠলে কপাল পুড়বে পাকিস্তানের।
ওটা বড়দের হিসেব। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে জিমিদের জয় দেখতে। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে তা কেউ দেখতে চায়নি। জাপানের বিরুদ্ধে সেটা চাইতেই পারে। এশিয়া কাপের মুখোমুখিতে আগে কখনো জাপানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ সাক্ষাতের দুটিতে ড্র করে তিনটি হেরেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ঘরের মাঠে এবং টুর্নামেন্টের আগে জাপানের বিপক্ষে ৪০ মিনিটের প্রস্তুতি ম্যাচের জয়টি মানুষকে আশায় রেখেছে। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে ভুরিভুরি গোল হজমের পর স্বাগতিক সমর্থকদের মুখ বেশ গোমড়া, জিমিরা ভালো কিছু করে দেখাতে না পারলে আর বিশ্বাস ফিরবে না সমর্থকদের মনে।
আগে এশিয়া কাপে জাপানকে হারাতে না পারলেও দলটি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে না। একটু চেষ্টা করলে যে জাপানকে হারানো সম্ভব তার প্রমাণ তো ৬ দিন আগেই দিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা; কিন্তু সেটা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। আর এটি টুর্নামেন্টের। হার-ড্র যাই হোক, কোনো লাভ নেই-জাপানের সামনে এমন সমীকরণ হলে ছিল এক কথা।
যে ম্যাচ ভালোভাবে জিতে রাখতে পারলে এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টের সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে সেই ম্যাচে জাপান নিশ্চয়ই ঝাঁপিয়ে পড়বে লক্ষ্য হাসিলের জন্য। বাংলাদেশের ভয়টা সেখানেই। এইতো শুক্রবার জাপান ২-২ গোলে পাকিস্তানকে রুখে দিয়ে তাদের যোগ্যতার ছাপ রেখেছে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে তো তারা স্টিমরোলার চালাতেই চাইবে।
টুর্নামেন্ট শুরুর অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ দলের মধ্যে একটা স্লোগান ছিল ‘ভালো খেলা, ভালো খেলা’; কিন্তু যে দুটি ম্যাচ পার করে এসেছে মাহবুব হারুনের দল তার কোনোটিতেই ভালো হকি খেলতে পারেনি তার শিষ্যরা। যদি দুই ম্যাচে ১৪ গোল খাওয়ার পরও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সুর উঠিয়েছে ‘খেলার উন্নতি হয়েছে’ বলে।
সাধারণ দর্শক অবশ্য ওইসব উন্নতি-ফুন্নতি বোঝে না। তারা মাঠের পারফরম্যান্স দেখতে চায়। বাংলাদেশের সামনে আরো ৪ ম্যাচ। জাপানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের পর স্থান নির্ধারনীতে আরো ৩। এ ম্যাচগুলোতে জিমিদের কাছ থেকে কিছু একটা দেখার অপেক্ষায় দর্শকরা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই-বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো?
অতীতের ফলগুলোর কারণে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ মাহবুব হারুনও ‘জিতবো’ কথাটি মুখফুটে বলেনি। বাজিয়েছেন পুরোনো রেকর্ডই ‘আমরা ভালো খেলতে চাই। আমার বিশ্বাস, এ ম্যাচে ছেলেরা ভালো খেলবে।’
আরআই/আইএইচএস/আরআইপি