ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ভুলের দায় স্বীকার করলেন জিমি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৭

ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে অনেকটা বিদ্ধস্ত অবস্থায় হাজির হলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি এবং দলীয় ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামাল। একে একে সাতটি গোল খাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়াটাই স্বাভাবিক। তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের ভুল খেলার কথা স্বীকার করে নিলেন অধিনায়ক এবং ম্যানেজার।

বাংলাদেশ ভুল করেছে বলেই পাকিস্তান গোল করার সুযোগ পেয়েছে বলে স্বীকার করলেন অধিনায়ক জিমি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ভুল করেছি। তাই তাদের গোল করতে সুবিধা হয়েছে। প্রথম দুটা কোয়ার্টারে ভাল খেলার পরে, থার্ড কোয়ার্টারে গোল হওয়ার পরে টিম একটু ডাউন ছিল। সেখান থেকে কামব্যাক করতে পারেনি। যে কারণে আমাদের ফলাফলটাও আশানুরূপ হয়নি।’

আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ ধরনের ভুলগুলো করাও ঠিক না বলে মনে করেন অধিনায়ক। তার মতে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ ধরনের ভুলগুলো যদি হয়, ওটা রিকভার করার সময় থাকে না একটা ভাল দলের সাথে। পাকিস্তানের সাথে আমাদের যে ভুলগুলো ছিল, ঐগুলো আমরা রিকভার করতে পারিনি।’

তবে দ্বিতীয় মাচের আগে ভুলগুলো শোধরাতে না পারলে আরও বাজে অবস্থা হতে পারে বলেও মনে করেন জিমি। তার মতে, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা যদি ভিডিও দেখে রিকভার না করতে পারি তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এর চেয়েও খারাপ হতে পারে। আমরা ভিডিও দেখে, আমাদের কোচের সাজেশন্স মত খেলতে পারি, তবে অবশ্যই কামব্যাক করতে পারবো।’

এদিকে দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের জন্য খেলোয়াড়দেরকেই দায়ী করলেন দলের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামাল। খেলোয়াড়রা কোন সাজেশন্স শোনেনি বলেই অভিযোগ করেন বাংলাদেশ দলে ম্যানেজার। অভিযোগ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমরা ফাস্ট কোয়ার্টারটা ভাল খেলছিলাম, সেকেন্ড কোয়ার্টারে এক গোল হয়েছে পেনাল্টি কর্ণারে। থার্ড কোয়ার্টার থেকে আমরা ভুল করা শুরু করি। ওদের সাত গোলের মধ্যে আমাদেরই হচ্ছে পাঁচটা গোল।’

মাঠে ভুল করলে এগুলো ঠিক করা সম্ভব নয় মনে করেন ম্যানেজার। তিনি বলেন, ‘এই ভুল আসলে প্লেয়ারদের যে অবস্থা, আমার মনে হয় না বাইরে থেকে কোচ বা ম্যানেজার এনে ঠিক করা যাবে না। এমন সিলি মিসটেক ছিল, আমাদের প্লেয়ারদের প্রতি সাজেসন্স ছিল, তারা মাঝখান দিয়ে কোন বল পাস করবে না। বা দুই/তিনটা প্লেয়ারের মাঝখান দিয়ে কাউকে ডজ দেয়ার চেষ্টা করবে না। আর দেখা গেছে সে গুলা মিসটেকের কারণে কিন্তু আমরা কাউন্টার এটাকে গিয়ে কিন্তু গোলগুলো খেয়েছি। মনে হয় আমাদের এখানে মিডফিল্ডেও কন্ট্রোলটাও ছিল না। যার কারণে মিডফিল্ডে বল ধরে রাখতে পারিনি।’

এই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে পরের ম্যাচে ফিরে আসার প্রত্যাশা ছিল ম্যানেজারের কন্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়ারা খুব তাড়াহুড়ার মধ্যেও ছিল। যেখানে আমরা বল খেলাটাকে একটু স্লো করতে পারতাম। সে জায়গাগুলোতে কিছু কিছু জায়গায় ভুল করে ফেলেছে। আশা করি পরের ম্যাচের আগে আজ ভিডিও সেশন করবো। আর ভুলগুলো শুধরে ঘুরে দাঁড়াবো।’

এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন