‘লড়াই করার ক্ষমতা আছে আমাদের’
দীর্ঘ তিন মাসের অনুশীলন কাজে লাগিয়ে এশিয়া কাপের সব ম্যাচে ভালো খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠের এশিয়া কাপ স্মরণীয় করে রাখতে চান অভিজ্ঞ এ ফরোয়ার্ড।
‘আমরা তিন মাস ধরে অনুশীলন করেছি। আমাদের একটাই লক্ষ্য ভালো খেলা। যাতে মানুষ দীর্ঘদিন এই এশিয়া কাপটা মনে রাখে। ৩২ বছর আগের এশিয়া কাপের দলের খেলোয়াড়দের এখন অনেকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছেন। অনেক সম্মান দিচ্ছেন। আমরাও যেন পরে এ সম্মান পাই, তার পথটা আমাদেরই তৈরি করে যেতে হবে’- বলেছেন লাল-সবুজদের অধিনায়ক।
দল হিসেবে নিজেদের যোগ্যতা সম্পন্ন উল্লেখ করে জিমি বলেছেন, তাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা আছে। মনের শক্তির সঙ্গে খেলাটাও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জিমি বলেছেন, ‘আমরা এখন অনেক ধরনের টুর্নামেন্ট খেলছি দেশে ও দেশের বাইরে। আমি মনে করি, এখন আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে বড় বড় দলের সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। দেশটির অনেক খেলোয়াড় ঢাকা লিগেও খেলেছেন। তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়াই করার সামর্থ্য আমাদের আছে।’
যে তিন মাস অনুশীলন করেছেন সেখানে কোন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন? ‘আগের টুর্নামেন্টগুলোতে আমরা সেরাটা দিতে পারিনি। সেখানে যে ভুল ছিল তা শোধরানোর চেষ্টা করেছি। আমরা একটা দল হিসেবে এ টুর্নামেন্ট খেলতে চাই। আমাদের চেষ্টা থাকবে মাঠে ভালো পারফরম্যান্স করা। প্রস্তুতিতে কোনো ত্রুটি ছিল না। এখন আমাদের মাঠে প্রমাণের সময়। ভালো খেলতে না পারলে এই যে দীর্ঘ সময় অনুশীলন করলাম তা ব্যর্থ হয়ে যাবে’- বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জাপানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ না হলেও একটা প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে। আরেকটি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। আসলে এ দুটি ম্যাচ হওয়ারই সম্ভাবনা ছিল না। তারপরও এখান থেকে কিছু ভুলতো বেরিয়ে এসেছে তাই না?
জিমি বলেন, ‘জাপানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি আমাদের বেশি ভালো হয়েছে। একটা ভয় কিন্তু কেটেছে ওই ম্যাচে। কারণ আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। আমাদের এখন টার্গেট সেটা ধরে রাখতে হবে টুর্নামেন্টে। আমি বারবার একটা কথা বলে আসছি, যদি একটি দল হিসেবে খেলতে পারি, কোচের পরিকল্পনা মাঠে কার্যকর করতে পারি তা হলে যে কোনো দলের সঙ্গেই ভালো খেলা সম্ভব।’
জাপানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটা ভালো হয়েছে বলছেন। ওই ম্যাচ থেকে কী ভুল চোখে পড়েছে? ‘হ্যাঁ। পরে আমরা ম্যাচ-ভিডিও দেখেছি। ম্যাচ আমরা জিতলেও বল পজিশন কম ছিল। টুর্নামেন্টে ওই ভুলগুলো যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোচ আমাদের সে নির্দেশনাই দিয়েছেন। কোচের কথা হচ্ছে-ছোট ছোট পাসে বল যত বেশি সময় কাছে রাখা যায়। বল বেশি সময় রাখতে পারলেই আমাদের খেলা ভালো হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলার পরিকল্পনা আমাদের’- জবাব বাংলাদেশ অধিনায়কের।
সারোয়ার হোসেনের সাসপেনশনটাতো আমাদের জন্য বড় এক ধাক্কা। আপনার কী মনে হয়? ‘অবশ্যই। সারোয়ার খুবই ভালো মানের খেলোয়াড়। আমরা প্রায় চার-পাঁচ বছর একসঙ্গে খেলছি। সে মিডফিল্ডার হলেও সব পজিশনেই ভালো খেলে। তাকে হারানোটা আমাদের জন্য নেতিবাচক একটা দিক। সারোয়ার থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। আমার বিশ্বাস সারোয়ারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সোহাসুর রহমান সবুজও ভালো খেলবে’ সারোয়ারের না থাকাটাকে একটা ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন জিমি।
আরআই/আইএইচএস/বিএ