পেশাদার ফুটবলকে বিদায় বলছেন পিরলো
কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সবাইকেই একদিন বিদায় বলতে হয়। বিদায়ের সেই সময়টা চলে এসেছে আন্দ্রে পিরলোর। দীর্ঘ ২২ বছরের বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ইতালির বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। চলতি বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্ক সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষেই বুট জোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারে সাফল্য অগুণিত। কিন্তু বয়সটাও তো বাড়ছে, সঙ্গে হানা দিয়ে যাচ্ছে চোট সমস্যা। এ বছর মেজর লিগ সকারে (এমএসএস) ৩২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১৫টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন এই মিডফিল্ডার। এদিকে বয়সটাও পেরিয়েছে ৩৮ বসন্ত। কঠিন সিদ্ধান্তটা তাই নিয়েই ফেললেন ইতালিয়ান ফুটবলের এই কিংবদন্তী।
পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর প্রসঙ্গে পিরলো বলেছেন, '(একদিন) আপনি বুঝতে পারবেন যে, সময় এসে গেছে। প্রতিদিনই শারীরিক সমস্যা হবে; আপনি যেমনটা চান তেমন অনুশীলন করতে পারবেন না। কারণ, সবসময়ই আপনার কিছু (সমস্যা) থাকবে। আমার এই বয়সে যথেষ্ট হয়েছে। পরিস্থিতি এমন নয় যে, আপনি ৫০ বছর পর্যন্ত খেলে যেতে পারবেন।'
শোনা যাচ্ছে, বুট জোড়া তুলে রাখলেও ফুটবলের সঙ্গেই অন্য ভূমিকায় যুক্ত হতে পারেন পিরলো। চেলসিতে অ্যান্তোনিও কোন্তের সহযোগী হওয়ার অফারও নাকি আছে। তবে এখনই এসব নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না বিদায়ী এই মিডফিল্ডার। আপাতত অবসরের পর পরিবারের সঙ্গে কিছুুটা সময় কাটাতে চান তিনি।
পিরলোর ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কেটেছে এসি মিলানে। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দলটির হয়ে দুটি করে সেরিআ' ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট নয়টি শিরোপা জিতেন তিনি। পরে জুভেন্তাসের হয়ে আরও চারটি লিগ শিরোপার স্বাদ পান এই মিডফিল্ডার।
জাতীয় দল ইতালির হয়ে ১১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন পিরলো। ২০০৬ সালে ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন, দলের হয়ে খেলেছেন ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপের ফাইনালও।
এমএমআর/আরআইপি