মেহেদী-তুষারের সেঞ্চুরিতে খুলনার রানের পাহাড়
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএলে) মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পার হয়েছে প্রথমদিন। কোথাও বৃষ্টির কারণে টসই হতে পারেনি। আবার কোথাও হয়েছে রান বন্যা। রাজশাহীতে দিনের অর্ধেক খেলা হলেও সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে মন্থর গতির ব্যাটিং করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ৪৩ ওভার ব্যাট করেছে তারা তুলেছে মাত্র ৬৭ রান। তাও ২ উইকেট হারিয়ে।
দিনের ৯০ ওভার খেলা অনায়াসে, নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে কেবল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ছে স্বাগতিক খুলনা বিভাগ। মেহেদী হাসান এবং অভিজ্ঞ তুষার ইমরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান তুলেছে খুলনা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর সূচনাটা অবশ্য ভালো ছিল না খুলনার। ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি আউট হয়ে যান মাত্র ৩ রান করে। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় করেন ৩৬ রান। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর খুলনার হাল ধরেন মেহেদী হাসান এবং তুষার ইমরান।
এ দু’জন মিলে গড়েন ২৭২ রানের বিশাল এক জুটি। দু’জনই পান সেঞ্চুরির দেখা। ১৯৬ বল খেলে ১৩২ রান করে আউট হন তুষার ইমরান। তবে অপর সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান এখনও অপরাজিত আছেন ১৬৫ রানে। অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনের রান ৮।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দিনের অর্ধেক খেলাই হতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। শেষ যখন চট্টগ্রাম টস হেরে ব্যাট করতে নামে তখন তাদের হাতে দিনের বাকি অর্ধেক। উইকেট না হারানোর পণ করেই হয়তো মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম বিভাগ।
ইমরুল করিম আর মাহবুবুল করিমের উইকেট হারালেও তাসামুল হক এবং ইয়াসির আলি উইকেটে রয়েছেন। ৪৩ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের রান মাত্র ৬৭। ইমরুল করিম ১০৭ বল খেলে করেন ১৮ রান। মাহবুবুল করিম ৪৩ বল খেলে করেন ২২ রান। ৮৫ বল খেলে ১০ রানে অপরাজিত তাসামুল হক। ২৪ বলে ৮ রান করেছেন ইয়াসির আলি।
বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগ এবং বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ঢাকা বিভাগ এবং রংপুর বিভাগের মধ্যে টসই অনুষ্ঠিত হয়নি।
আইএইচএস/এআরএস