ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আনসারের শোকজের জবাবে তদন্ত চাইলেন মাবিয়া

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন সম্পর্কে মিডিয়ায় আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল তার সংস্থা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী এ নারী ভারোত্তোলক। একই সাথে তিনি ২০১৬ সালের পর থেকে ভারোত্তোলন ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক বিষয়ে ওঠা অভিযোগের কথাও উপস্থাপন করেছেন তার সংস্থাকে।

গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে চিঠি দিয়ে মাবিয়ার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন। সে চিঠির প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ আনসার পরের দিন মাবিয়াকে শোকজ করে।

বাংলাদেশ আনসারের সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) মোহাম্মদ রায়হান উদ্দীন ফকির স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় নেতিবাচক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক অসত্য বক্তব্য দিয়ে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। যা ফেডারেশন আনসারকে অবগত করেছে। আপনার এহেন কার্যকলাপ শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এহেন কার্যকলাপের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না ৩ দিনের মধ্যে তার সন্তোষজনক জবাব দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

গত ৬ আগস্ট মাবিয়া লোক মারফত শোকজের জবাব পৌঁছে দেন তার সংস্থা আনসারের দপ্তরে। ‘আমি অসুস্থ ছিলাম বিধায় একজনকে দিয়ে কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব আনসার দপ্তরে পৌঁছিয়েছিলাম। পরে আমি স্ব-শরীরে দেখা করে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে ফেডারেশন যে অভিযোগ এনেছে তা সঠিক নয়। আমি আমার সংস্থার কাছে এ ঘটনার তদন্ত চেয়েছি। আমি সব কিছু প্রমাণ দিয়ে দেব। আমি আমার সংস্থাকে বলেছি, আমার বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে বাংলাদেশ আনসারের ধারা অনুযায়ী যে শস্তি দেবে তা মাথা পেতে নেব।’-জাগো নিউজকে বলেছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।

কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে মাবিয়া বলেছেন, ‘অভিযোগে ফেডারেশন উল্লেখ করেনি, আমি কী অসত্য বলেছি। আমার জ্ঞানমতে যা ঘটেছে মিডিয়াকে তাই বলেছি। ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক শাহ জালাল মুকুল ৯ জুন ফেডারেশনের ইফতার পার্টিতে বলেছেন, জাতীয় প্রতিযোগিতায় ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি সেটাই বলেছি। আগের কমিটির সময় খরচ হতো ৪ লাখ টাকা। এত টাকা খরচ না করে ভারোত্তোলকদের প্রশিক্ষণের জন্য বারবেল সেট কেনা জরুরি ছিল। আন্তর্জাতিক পদক পাওয়ার লক্ষ্যে আরও উন্নত প্রশিক্ষণ চেয়েছি। ফেডারেশন আমাকে মাসে ১৫ হাজার টাকা বৃত্তি দিচ্ছে। কিন্তু আমার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছে না। জিমনেশিয়ামে সরঞ্জাম নেই, পরিবেশ নেই। আমার বিরুদ্ধে ফেডারেশন ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ কেন এনেছে তা বোধগম্য নয়। ফেডারেশনের বর্তমান কার্যক্রম ও আচরণের যে বর্ণনা দিয়েছি আমি মিডিয়ায় তার সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

আরআই/এনইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন