কোনো দুঃখ নেই বোল্টের
ক্যারিয়ারের শেষ দৌড়। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের পর যিনি আর দৌড়ে হারেননি সেই উসাইন বোল্ট কি না ক্যারিয়ারের শেষ দৌড়ে এসে হেরে গেলেন জাস্টিন গ্যাটলিনের কাছে। যিনি কি না দু’বার ডোপ পাপে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। বোল্টের চেয়েও কম করে ৫ বছর বেশি বয়স। বোল্টের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই গ্যাটলিন তার প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই মার্কিণ দৌড়বীদই কি না কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে হারিয়েছেন সর্বকালের সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্টকে।
লন্ডন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে গ্যাটলিনের কাছে পরাজয়ের পর বোল্ট প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, তার কোনো আক্ষেপ নেই। ৯.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে বোল্ট দ্বিতীয়ও নয়, হয়েছেন তৃতীয়। দ্বিতীয় হয়েছেন আরেক মার্কিন স্প্রিন্টার ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যান।
২০১৬ রিও অলিম্পিকের সময়ই বোল্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৭ লন্ডন বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের পরই তিনি অবসরে চলে যাবেন। অ্যাথলেটিক ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডকে জানাবেন গুডবাই। সে হিসেবে শনিবার রাতে ছিল বোল্টের ক্যারিয়ারের শেষ দৌড় এবং তার শেষ দৌড় দেখার জন্য টিভির সামনে বসেছিলেন বিশ্বের কোটি কোটি ক্রীড়াপ্রেমী।
কিন্তু সবাইকে হতাশ করলেন বোল্ট। তার স্টার্টিংটাই ছিল সবচেয়ে বাজে। প্রথম ৫০ মিটার তো বেশ কয়েকজনের পেছনে ছিলেন তিনি। শেষ ৫০ মিটারে রিকভার করার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু আত্মপ্রত্যয়ী গ্যাটলিন এবং তরুণ কোলম্যানের সঙ্গে আর শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি।
তবে শেষ দৌড়ে হেরে গেলেও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন বোল্ট। এ কারণে তার কোনো দুঃখ নেই। এমনকি আক্ষেপও নেই। বোল্ট বলেন, ‘কোনো দুঃখ নেই। আমি দৌড়েছি। নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমি সব সময় এমনভাবে শেষ করার চেষ্টা করেছি, তাতে কী হচ্ছে সে দিকে তাকাইনি। জয়, হার কিংবা ড্র- কোনোটার দিকেই তাকাইনি। এগুলো এক সঙ্গেই পথ চলেছে।’
এই হারে ক্যারিয়ারে তেমন কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না বলে জানান বোল্ট। তিনি বলেন, ‘এ পরাজয় আমার ক্যারিয়ারে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমি আমার ক্যারিয়ারে সব কিছুই করেছি। এই খেলাটির জন্য এবং আমার জীবনের জন্য যা যা করার দরকার সবই করেছি। এখন সময় হয়েছে বিদায় নেয়ার।’
আইএইচএস/আরআইপি