বাংলাদেশ না পাকিস্তান!
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাকি আছে এখনো দুই বছর। কিন্তু তবুও ঘুম নেই বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে। কারণ দুই দলেরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন যে এখনো দুলছে।
সমস্যাটা বাধিয়েছে ক্রিকেটের মোড়ল আইসিসি। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ গ্রহণ করতে হলে যেকোনো দলকে র্যাঙ্কিং এর সর্বোচ্চ আটের মধ্যে থাকতে হবে।
র্যাঙ্কিং তালিকার বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী টাইগাররা অবস্থান করছে অষ্টম স্থানে। আর গেলো মাসে হোম সিরিজে টাইগারদের সাথে শোচনীয় হোয়াইটওয়াশে র্যাঙ্কিং তালিকার নবম স্থানে নেমে এসেছে পাকিস্তান। তাই এখন দুই দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে মুখোমুখি হতে হবে জটিল সমীকরণের!
সেই সমীকরণই নিয়েই জাগোনিউজের পাঠকদের জন্যে এ আয়োজন-
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে আসন্ন হোম সিরিজে ভারত ও দ.আফ্রিকার বিপক্ষে অন্তত একটি করে ওয়ানডে ম্যাচে জয় লাভ করতে হবে মাশরাফি বাহিনীকে।
অপরদিকে যদি বাংলাদেশ আসন্ন হোম সিরিজে ছয়টি ওয়ানডের কেবল একটিতে জয়লাভ করে তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোয়ালিফাইর জন্যে পাকিস্তানের সাথে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলংকার ম্যাচের ফলাফলগুলোর উপর নির্ভর করতে হবে টাইগারদের। চলমান সিরিজে জিম্বাবুয়ের সাথে পাকিস্তানের একটি হার বাংলাদেশকে এনে দিতে পারে কাঙ্খিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকেট।
তবে আশার বাণী হলো বাংলাদেশ আসন্ন হোম সিরিজে সবগুলো ম্যাচ হেরে গেলেও স্বপ্ন বেচে থাকবে যদি পাকিস্তান জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে যায়।
ভবিষ্যৎ যাই হোক, বর্তমানটা নানান জল্পনা কল্পনার মধ্যে দিয়েই কাটছে দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। অপেক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের। তারপরই নিশ্চিত হয়ে যাবে শেষ হাসি হাসবে কে? মাশরাফির টিম বাংলাদেশ নাকি আজহার আলীর পাকিস্তানের।
আরএএইচ/এলএ/আরআই