ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এসএ গেমসে স্বর্ণ জিততে চান শিরিন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৭

পঞ্চমবারের মতো দেশের দ্রুততম মানবী হয়ে কোচ আবদুল্লাহ হেল বাকির পা ছুঁয়ে সালাম করলেন শিরিন আক্তার। কিন্তু কোচ খুশি নন, কেমন যেনো চোখ রাঙালেন। ‘কী স্বর্ণ জিতেছ? এভাবে স্বর্ণ জিতে কী লাভ? এমন টাইমিং করে স্বর্ণ জিতলে আন্তর্জাতিক মিটে কিছুই করতে পারবা না। চেষ্টা কর কীভাবে টাইমিং ভালো করা যায়’-স্যারের এ বকা শুনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ নারী অ্যাথলেট।

গত মাসে শিরিন গিয়েছিলেন এথেন্সে আইওসির একটি কর্মসূচিতে। ওই সময়টা তার জন্য খারাপ গেছে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারেননি। ওজনও বেশ কমে গেছে। ‘আমি আগে বুঝতে পারিনি গ্রিসে খাওয়া-দাওয়া এমন হবে। তাহলে তো রাইসকুকার নিয়ে যেতাম (হাসি)। তারপরও দেশে ফিরে কাফি স্যারের কাছে অনুশীলন করেছি। শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পেরেছি’- দ্রুততম মানবীর খেতাব ধরে রাখার পর জাগো নিউজকে বলছিলেন বিকেএসপির এ সাবেক ছাত্রী।

টাইমিং নিয়ে তেমন খুশি না হলেও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পেরে খুশি শিরিন আক্তার, ‘পঞ্চমবারের মতো দ্রুততম মানবী হলাম। খুব ভালো লাগছে। নৌবাহিনীতে যোগ দিলেও বিকেএসপিতেই ট্রেনিং করছিলাম। যদি অনুশীলনটা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে টাইমিং আরও ভালো করতে পারব। আর সামনে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক যে মিটগুলো আছে সেখানে সময় আরও কমিয়ে আনতে চাই। টাইমিং উন্নতি করে জিততে চাই এসএ গেমসে স্বর্ণ।’

ট্র্যাকটাও পুরনো হয়ে গেছে, বাতাসও ছিল। ইলেকট্রনিক্স হলে ভালো হয়। আমার সেরা টাইমিং হচ্ছে ১১.৯৯ সেকেন্ড। হ্যান্ডটাইমিংয়ে ১১.৮৪ সেকেন্ড।’

১০০ মিটারে এসএ গেমসে স্বর্ণ জিততে চান। কিন্তু সেটা কী সম্ভব? ‘আসলে মানুষের কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।  আমি জিততে চাই। আশা করি পারব। আমাকে পারতেই হবে। ন্যাশনাল এর আগে বিকেএসপিতে প্র্যাকটিস করেছি। অব্যাহত রাখতে পারলে ভালো হবে। বিকেএসপির ডিজি স্যারের কাছ থেকে আমি অনুমতি নিয়েছি। স্যার এসএ গেমস পর্যন্ত বিকেএসপিতে অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছেন’- বলেছেন শিরিন আক্তার।

দেশের দ্রুততম মানবী হওয়ার পরও গত ইসলামী সলিডারিটি গেমসে তাকে পাঠায়নি ফেডারেশন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলিদা শিকদারকে। তবে এ নিয়ে কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই তার, ‘এ নিয়ে রাগ কিংবা জেদা-কোনোটাই ছিল না। আমার অভিভাবকরা যেটা করেছেন তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমার মাথাব্যথা পারফরম্যান্স নিয়ে। সেটা কীভাবে ভালো করা যায় সেটাই আমার টার্গেট। আমি কোথায় যাব, কোথায় যাব না, সেটা অভিভাবকরাই ঠিক করবেন।’

প্রতিযোগিতা শুরুর আগে কাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেছিলেন? ‘সোহাগী জাকিয়া, ও সুস্মিতা তিনজনই ভালো স্প্রিন্টার। ট্র্যাকে ওরা অবশ্যই আমার ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। কাউকে ছোট করে দেখার কিছু নেই’- বলেছেন শিরিন।

আরআই/এনইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন