কোহলি বুঝিয়ে দিলেন শাস্ত্রীকে পেয়ে তিনি খুশি
অনেক নাটকের পর কোচ নিয়োগ হলো ভারতীয় ক্রিকেটে। নতুন কোচ রবি শাস্ত্রী। তার সহকারী নিয়োগ নিয়েও কম জল ঘোলা করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের পছন্দই বেছে নিলেন শাস্ত্রী ভরত অরুণ এবং সঞ্জয় বাঙ্গার। তাদের নিয়েই গতকাল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেছে বিরাট কোহলি এবং রবি শাস্ত্রীরা।
যাওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন কোচ-অধিনায়ক রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলি। সেখানেই নতুন কোচ নিয়ে কথা বললেন অধিনায়ক কোহলি। এমনিতেই সবার জানা, কোহলির পছন্দেই কোচ নির্বাচিত হয়েছেন রবি শাস্ত্রী। অনেক নাটকীয়তার পর নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে কোচের আসনে পেয়েছেন তিনি। এ কারণে সবার আগেই কোহলি জানিয়ে দিলেন, শাস্ত্রীর অধীনে তিনি কোনো চাপ অনুভব করবেন না।
রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কোহলির যোগাযোগ অনেক আগে থেকে। বোঝাপড়াটাও দারুণ। কুম্বলের সঙ্গে যেসব বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিত, শাস্ত্রীর অধীনে সেসব হওয়ার সুযোগই নেই। এ কারণে চাপও থাকার কথা নয়। তবুও শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে কোহলি জানিয়ে গেলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি তিন বছর। ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত। একটা বোঝাপড়া রয়েছে আমাদের মধ্যে। যেটা হয়তো সবাই বোঝে। তাই আমার মনে হয় নতুন করে আমাদের কিছু ভাবতে হবে।’
শাস্ত্রীকে চান কোহলি- এমন সংবাদে নিয়মিত বাজার গরম থাকলেও কোহলি নিজে এসব বিষয় নিয়ে একটি টু-শব্দও করেননি। যখন কোচকে পেয়ে গেছেন, তখন তো আর বলতে সমস্যা নেই। কোচকে নিজের পাশে রেখে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন তিনি। এটাও বুঝিয়ে দিলেন তিনিই রবি শাস্ত্রীকে আনার পেছনের মূল কারিগর।
কোহলি বলেন, ‘আমরা দুজন দুজনের প্রত্যাশাটা বুঝি। আমরা জানি, কী অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তাই আমার মনে হয় না, বুঝতে বাড়তি কোনও চাপ নিতে হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা আবারও উঠলো। এ নিয়ে কোহলি বলেন, ‘অনেক জল্পনা চলছিল, অনেক কিছু ঘুরছিল চারদিকে। যেগুলো আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমি তখনও বলেছিলাম, আমার কাজ মাঠে গিয়ে সেট দল তৈরি করা, যেটা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিলে। আর নিজের খেলাটা খেলা।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে আশাবাদী বিরাট। আগের ভুলগুলো থেকেই শিক্ষা নিতে চান তিনি। তাই যেন আত্মবিশ্বাসটাও অনেক বেশি। বলেন, ‘আমরা সবাই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, সমালোচনা নতুন কিছু নয়। আমি কোনও বাড়তি চাপ নেব না। কারণ, আমার উপর অনেক দায়িত্ব। সেভাবেই চলব। যতদিন অধিনায়ক থাকব বা আমার উপর দায়িত্ব থাকবে।’
আইএইচএস/পিআর