‘এক চোখ থাকবে রক্ষণে আরেক চোখ আক্রমণে’
সব ফুটবল কোচেরই নিজস্ব একটা কৌশল থাকে। বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন প্রধান কোচ অ্যান্ড্র ওর্ডেরই বা থাকবে না কেন? ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এ অস্ট্রেলিয়ানকে স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন শুনতে হলো- তিনি কোন কৌশলে খেলাবেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। মানে রক্ষণাত্মক, নাকি আক্রমণাত্মক- যেখানে প্রতিপক্ষে ফিলিস্তিন, জর্ডান ও তাজিকিস্তানের মতো দেশ।
প্রথমবারের মতো কোনো জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া ৩৮ বছরের অ্যান্ড্রু ওর্ড তার প্রথম এসাইনমেন্টে দুই দিকেই সমান গুরুত্ব দিতে চান। ফিলিস্তিনগামী চূড়ান্ত দল ঘোষণা উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওর্ড বলেছেন, ‘আমার এক চোখ থাকবে রক্ষণে, আরেক চোখ আক্রমণে।’
আবাহনীর বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের জয়ের প্রসঙ্গ টেনে অ্যান্ড্রু ওর্ড বলেছেন, ‘রক্ষণ ও আক্রমণভাগে সমান নজর দিয়েই এ ম্যাচটি জিতেছি। আমাদের রক্ষণ সামলে তারপরই আক্রমণে যেতে হবে। নেপালের বিপক্ষে এ কৌশলই নিতে হবে। আমাদের আরও এগিয়ে যাওয়া দরকার, এগিয়ে যেতে হবে।’
জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধান কোচ নিয়োগ পাওয়ার পর অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তৃতীয় সপ্তাহে। ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সপ্তাহ দুইয়েকের প্রস্তুতি। এখন পরীক্ষা দেয়ার পালা। পরীক্ষাটা বাংলাদেশের ফুটবলারদের জন্য যেমন, তেমন নতুন এই কোচেরও।
শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রায় সবাইকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছেন। বেছে নেয়ার চেষ্টা করেছেন সেরাদের, বেছে নেয়ার চেষ্টা করেছেন মাঠের একজন নেতা (অধিনায়ক) কে। মাঠে খেলোয়াড়দের নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন কোনো খেলোয়াড় এখনো চোখে পড়েনি কোচের। তাই ফিলিস্তিন যাওয়ার আগ পর্যন্ত অধিনায়কের আর্মব্যান্ড নিজের কাছেই রাখছেন। আরও দেখেশুনে তিনি কাউকে এ দায়িত্বটা দিতে চান।
‘দুই সপ্তাহ ধরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার হাতে বেশ কয়েকজন ভালো ফুটবলার আছে, যাদের রয়েছে জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা। কয়েকজন ফুটবলার পেয়েছি মাত্র কয়েকদিন আগে। যে কারণে অধিনায়াকের ব্যপারে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। সত্যি কথা বলতে কী আমি মনে করি না তিন ম্যাচই খেলতে পারে এমন ফুটবলার আছে। যে কারণে আরও সময় নিতে চাই। সকালে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছি। সাদা চোখে মনে হচ্ছে প্রস্তুতি শেষ। আসলে তা নয়, এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের আরও ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। সামনে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে, সেখান থেকে কিছু শিখতে পারব। পুরোটাই প্রস্তুতির অংশ। আমরা ভালো শুরু করতে চাই তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।’
আবাহনীর বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে কোচ খেলাননি স্ট্রাইকার তকলিস আহমেদকে, যিনি আছেন ফিলিস্তিনগামী দলে। এ প্রসঙ্গে কোচ বলেছেন, ‘আমি সে সব খেলোয়াড়কেই অগ্রাধিকার দেব যারা পুরোপুরি ফিট। যেমন হেমন্ত কিন্তু এখনো খেলার মতো অবস্থানে নেই। তবে ইনজুরিতেও নেই। অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। সবাইকে শতভাগ দিতে হবে মাঠে। তাহলেই একটু একটু করেই উন্নতি আসবে।’
আরআই/এনইউ/আরআইপি