তাইজুলের পাশে নাম লেখালেন লঙ্কান হাসারাঙ্গা
এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ওয়ানডে অভিষেকে বিরল এক রেকর্ড গড়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ওয়ানডে অভিষেকেই প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তাইজুলের পর তার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা। আজ এই তালিকায় তৃতীয় বোলার হিসেবে যুক্ত হলেন লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিধু হাসারাঙ্গা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন তিনি।
তবে একটি ক্ষেত্রে তাইজুল এবং কাগিসো রাবাদাকেও ছাড়িয়ে গেছেন হাসারাঙ্গা। তিনি শুধু পরপর তিন বলে তিনটি উইকেটই নিলেন না, বিশ্বের সর্ব কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডবুকে নাম লেখান তিনি। নিজ দেশের জার্সিতে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করে লাসিথ মালিঙ্গা, চামিন্দা ভাস, থিসারা পেরেরা, পারভেজ মাহারুফদের সঙ্গে এক আসনে উঠে এলেন এই ক্রিকেটার।
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চমকে দেওয়া জিম্বাবুয়ে আজ অবশ্য শুরু থেকে ধুঁকছিল। ষষ্ঠ বোলার হিসেবে যতক্ষণে আক্রমণে আসেন হাসারাঙ্গা, ১৪৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তখন অনেকটাই শেষ হয়ে গেছে। বোলিংয়ে এসে মাত্র ১৬টি ডেলিভারি করার সৌভাগ্য হয়েছে হাসারাঙ্গার। তাতেই করলেন বাজিমাত। জিম্বাবুয়ের শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই লেগ স্পিনার।
নিজের তৃতীয় আর ইনিংসের ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দারুণ এক গুগলিতে বোল্ড করলেন ম্যালকম ওয়ালারকে। পরের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়লেন ডোনাল্ড তিরিপানো। তেন্দাই চাতারাকেও অসাধারণ এক গুগলিতে বোল্ড করে পূর্ণ করলেন হ্যাটট্রিক।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই মিরপুরে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন অভিষিক্ত তাইজুল ইসলাম। তার তিন শিকারের একজন ছিলেন তেন্দাই চাতারা। কাগিসো রাবাদাও হ্যাটট্রিক করে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তামিম, মাহমুদউল্লাহ এবং লিটন দাসকে ফেরান তিনি।
এর আগে শ্রীলঙ্গার যুব দলেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওয়ানিধু হাসারাঙ্গা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২ ম্যাচে ব্যাট হাতে সংগ্রহ ৭৭৫ রান, পাশাপাশি বল হাতেও চমক দেওয়ার ক্ষমতা আছে। অভিষেকের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই ১৬ উইকেট পেয়েছেন উঠতি এই ক্রিকেটার।
আইএইচএস/আরআইপি