ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বোল্টের গতি এত কম!

প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ২৯ জুন ২০১৭

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মানব। ইতিহাস গড়াই যার কাজ, যে রেকর্ড তৈরি করেছেন তিনি, সেটা কখনও কেউ ভাঙতে পারবে কি না সন্দেহ- সেই গতি দানব উসাইন বোল্টের গতি হঠাৎ এতটা কমে গেলো! এত কম গতি নিয়ে দৌড়ান তিনি! শুনলে অবাক হয়ে যাবেন তার ভক্তরা। চেক রিপাবলিকের ওন্ট্রাভায় গোল্ডেন স্পাইক মিটে ১০০ মিটার শেষ করতে তিনি সময় লাগিয়েছেন ১০.০৬ সেকেন্ড। তার নিজের মানের চেয়ে যা অনেক অনেক নিচুতে।

ক্যারিয়ারে এত বেশি সময় লাগিয়ে কখনও ১০০ মিটার দৌড় বোল্ট শেষ করেছিলেন কি না- তা হয়তো গবেষণা করে বের করতে হবে। যদিও ১০.০৬ সেকেন্ড সময় নেয়ার কারণে বোল্টকে দ্বিতীয় হতে হয়নি। যাকে হারিয়েছেন বোল্ট, তিনি কিউবার ইউনিয়ের পেরেজ। এই কিউবান স্প্রিন্টার সময় নিয়েছেন ১০.০৯ সেকেন্ড।

৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করা বোল্টের গতি হঠাৎ এতটা কমে গেলো কেন? অথচ অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। অ্যাথলেটিক ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে নিজের বিদায়ের বছরে কী তবে দ্বিতীয় হতে হবে বোল্টকে? কেন এমন হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন বোল্টের ভক্ত-সমর্থকরা।

আপাতত জানা যাচ্ছে কিছুটা ফিটনেস এবং শারিরীক সমস্যায় ভুগছেন উসাইন বোল্ট। ওস্ট্রাভায় দৌড় শেষে বোল্ট নিজেই বলেছেন, খুব দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। জার্মান ডাক্তার হ্যান্স উইলহেলম মুলার উলফআর্ট সব সময়ই বোল্টকে দেখে আসছেন। তার স্মরণাপন্ন হয়ে বোল্ট খুঁজবেন তার নিজের বিদায়ী বছরে কেন এতটা স্লো হয়ে গেলেন তিনি।

usain-bolt

মৌসুম শুরুর প্রথম দৌড়েও খুব বেশি গতি ছিল না বোল্টের। নিজ দেশের মাটিতে (জ্যামাইকায়) সর্বশেষ দৌড়ে তিনি সময় নিয়েছিলেন ১০.০৩ সেকেন্ড। জুনের ১০ তারিখ সেই দৌড়টি তিনি দিয়েছিলেন। তার নিজের ভাষায় সেটি ছিল, ভয়ঙ্কর। এর কারণ ছিল শুরুটা স্লো এবং ফিনিশংটা ভালোভাবে করতে না পারা।

ওস্ট্রাভায় শুরুটা মোটামুটি ভালো থাকলেও মাঝে এসে কিছুটা গতি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এক সময় তো মনে হচ্ছিল পেছনেই পড়ে যাবেন বোল্ট। শেষ পর্যন্ত খুব কম ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দৌড় শেষ করলেন। দৌড়ের পর বোল্ট বলেন, ‘আমি নিজেই খুশি নই। তবে আমি ধীরে ধীরে রিদম ফিরে পাচ্ছি। নিজের কার্যকরিতা ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছি এবং উন্নতি করছি।’

তবে দৌড়ের গতি কম থাকা নিয়ে চিন্তিত নন বোল্ট। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই চিন্তত নই। এটা শুধুমাত্র আমার পেছনের সমস্যা। ডাক্তার গত এক বছর ধরেই আমাকে বলে আসছিলেন, আমার বয়স যত বাড়বে পেছনের এই সমস্যাটাও বাড়বে। এখন আমাকে সত্যি সত্যি সমস্যাটা চেক আপ করাতে হবে। খুব দ্রুতই ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা প্রয়োজন।’

আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন