টেস্টকে বিদায় বলেই দিচ্ছেন ডি ভিলিয়ার্স!
বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। বিধ্বংসীও বটে। তার ব্যাটিং দেখার জন্যই দর্শকরা মাঠে হাজির হন; কিন্তু প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানই কি না ক্রিকেটের আসল ফরম্যাট টেস্টকে বিদায় জানানোর জন্য আরও একবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্ভবত আগামী আগস্টেই লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিতে পারেন তিনি।
আগামী আগস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকে বসবেন ডি ভিলিয়ার্স। সেখানেই টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন তিনি। ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘অগস্টে বৈঠকে বসব ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার (সিএসএ) সঙ্গে। ওরা ঠিক করবে শেষ কয়েক বছরে আমাকে নিয়ে পরিকল্পনা কী। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেব।’
সম্ভবত টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায়ই বলে দেবেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। গত বছর একবার একই চেষ্টা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন আর টেস্ট খেলবেন না। নিজেকে ফিট রাখা এবং সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট নিয়মিত খেলে যাওয়ার জন্যই মূলতঃ টেস্টকে বিদায় বলে দেয়ার পক্ষে তিনি। তবে সিএসএ’র অনুরোধে আরও এক বছর তিনি রঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেট চালিয়ে গেলেন।
ডি ভিলিয়ার্স চান, আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিজেকে পুরোপুরি ফিট রাখতে। তাহলে দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন তিনি। চোটের কারণে টেস্ট থেকে সাময়িক বিরতিতে ছিলেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিট রাখতে মরিয়া ডি ভিলিয়ার্স। এ কারণে একটা সিদ্ধান্ত নিতে চান।
যদিও আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলার ইচ্ছে রয়েছে তার। ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। নিজেকে ফিট রাখতে চাই। আমি সেপ্টেম্বরের জন্য তৈরি হচ্ছি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে চাই।’
নিজের ক্যারিয়ারে অনেক স্মরণীয় ইনিংস খেললেও বড় কোনও ট্রফি জেতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। এ কারণেই ডি ভিলিয়ার্স বলছেন তার স্বপ্ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা, ‘আমার স্বপ্ন বিশ্বকাপ জেতা। আমি খেলতে চাই পরের বিশ্বকাপে; কিন্তু সে সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি আমার হাতে নেই। আমি জানি না কী হবে।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমি অপেক্ষা করব যতক্ষণ না নতুন কোচ কে হচ্ছে সেটা জানা যাচ্ছে। আমি কথা বলব বোর্ডকর্তাদের সঙ্গে। আমি ওদের প্ল্যানে আছি কি না সেটার উপর সব নির্ভর করছে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘোষিত টেস্ট দলে আপাতত নেই ডি ভিলিয়ার্স। জায়গা পেয়েছেন নতুন তিন জন। আন্দিল পেহলুকাইয়ো, হেইনো কুন এবং এইডেন মাকরাম।
আইএইচএস/জেআইএম