দিনটা ছিল সানিয়া মির্জার
টাইব্রেকে ডাবল ফল্টটা করার পরই জিভ কাটলেন সানিয়া মির্জা। আর কয়েক পয়েন্ট দূরেই যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের মিক্সড ডাবলস খেতাবটা হাতছাড়া হয়ে যাবে না তো? এই একটা ভুলই আবার না টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে! সেটা ভেবেই হয়তো একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় তারকা। বিপক্ষে তখন মার্কিন-মেক্সিকান জুটি ম্যাচে ফেরার লড়াই করছে। দ্রুত দুটো পয়েন্টও পেয়ে যান অ্যাবিগেল স্পিয়ার্স আর সান্তিয়াগো গঞ্জালেজ। কিন্তু দিনটা তাঁদের ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই টাইব্রেক জিতে দু’বছর পর ফের মিক্সড ডাবলস খেতাব জেতা নিশ্চিত করে ফেলেন সানিয়া। ডাবলসে না পারলেও ফ্লাশিং মেডোয় মিক্সড ডাবলসে তাঁর দুরন্ত দৌড় শেষ পর্যন্ত লক্ষে পৌঁছল। ফল সানিয়াদের পক্ষে ৬-১, ২-৬, ১১-৯।
এই নিয়ে ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল আর পাঁচ নম্বর মিক্সড ডাবলস ফাইনালে নেমেছিলেন সানিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে প্রথম। ২০০৯-এ মহেশ ভূপতির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার তিন বছর পর মহেশের সঙ্গেই ফরাসি ওপেনও জেতেন হায়দরাবাদের তারকা। বৃহস্পতিবার ডাবলসের খেতাবি দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার দুঃখ অবশেষে পূরণ হওয়াটা মোটেও সহজ ছিল না। একেই টানা দুটো ইভেন্টে নামার ক্লান্তির পাশাপাশি ব্রাজিলীয় সঙ্গী ব্রুনো সোয়ারেসের সঙ্গে প্রথম বার জুটি বাঁধায় বোঝাপড়ার ব্যাপারটাও ছিল। সব অনায়াসে সামলে তিন নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যামটা তুলে নিলেন ২৭ বছরের ভারতীয় তারকা।
প্রথম সেটে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দেখানো ছন্দটা ধরে রেখে সহজেই ৬-১ সেট দখল করে নিয়েছিল শীর্ষবাছাই ইন্দো-ব্রাজিলীয় জুটি। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে স্পিয়ার্স-গঞ্জালেজ জুটি সানিয়াদের পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে আগ্রাসী টেনিসে। তবে শেষরক্ষা হল কোথায়! ওস্তাদের মার যে ‘টাইব্রেকে’ও দেখানো যায়, সেটাই প্রমাণ করে দিলেন হায়দরাবাদি তারকা।