‘আমিরের এই পারফরম্যান্স মনে রাখবে সবাই’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বল হাতে খুব একটা ছন্দে ছিলেন মোহাম্মদ আমির। সেটা বলা যাবে না! তার কাছে উইকেটের যে প্রত্যাশা ছিল, আসরের শুরুর দিকে সেটা পূরণ করতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচে তো কোনো উইকেটের দেখাই পাননি তিনি।
তবে মিতুব্যয়ী বোলিং করে গেছেন আমির। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের ব্যাটসম্যানদের কাছে বেধরক মার খাচ্ছিলেন পাকিস্তানি বোলাররা। ব্যতিক্রম ছিলেন আমিরই। ৮.১ ওভার বোলিং করে একটি মেডেনসহ ৩২ রান দিয়েছেন। ইকোনোমি রেট ৩.৯১! ওই ম্যাচে ৩৩৮ রান তুলেছিল ভারত।
দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন আমির। উইকেটের দেখা পেয়েছেন তৃতীয় ম্যাচে। কার্ডিফে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। ব্যাট হাতে ২৮* রান করে দলকে সেমিফাইনালের টিকিট এনে দেন।
ইনজুরির কারণে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি আমির। ফিরলেন ফাইনালে। বল হাতে আসল ভেলকিটা দেখালেন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেই। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপকে ভেঙে দিয়েছেন তিনিই। আমির তো বড় মঞ্চের তারকাই!
ভারতের টপ-অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকেই সাজঘরে ফেরান আমির। রোহিত শর্মাকে খুলতে দেননি রানের খাতাই। ২১ রান করা শিখর ধাওয়ানকে সরফরাজ আহমেদের তালুবন্দি করান আমির। বিরাট কোহলিকে ৫ রানেই থামান পাকিস্তানি বোলার। ৬ ওভারেই ২টি মেডেনসহ ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আমির।
আমিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার গতি দানব শট টেইট। ফাইনালের এই পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমিরের এই পারফরম্যান্স মনে রাখবে সবাই। স্মরণ রাখার মতোই বোলিং করেছে সে।’
প্রসঙ্গত, আমিরের আগুনে বোলিংয়ে সুবাদে ১৮০ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতল পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে সরফরাজ আহমেদের দল। জবাবে ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রানে অলআউট হয় ভারত।
এনইউ