ভারতকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালের লড়াইয়ে আজ ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বামিংহামের এজবাস্টনে গড়ানো ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বিরাট কোহলির ভারতের সামনে ২৬৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলের স্কোরশিটে মাত্র ১ রান জমা হতেই সৌম্য সরকারের উইকেটটি হারিয়ে ফেলে মাশরাফির দল। ভুবনেশ্বরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাংলাদেশি এই ওপেনার।
দ্রুত উইকেট হারানোর পর তামিমকে সঙ্গ দেন সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৩০ রান। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাব্বির। পারেননি। ভুবনেশ্বর কুমারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়েছেন। পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ২১ বলে চারটি চারে ১৯ রান করেন তিনি।
শুরুর ধকল সামলে নিতে বাংলাদেশের হাল ধরেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম। তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখেই কেদার যাদবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। বিদায়ের আগে ৮২ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৭০ রান করেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার।
আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে তাই সাকিবের কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২৩ বলে ১৫ রান করতেই রবীন্দ্র জাদেজার বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে দেন। দলীয় ১৭৭ রানে বিদায় নেন সাকিব।
এর ঠিক দুই রানের মাথায় মুশফিকও ফিরলেন সাজঘরে। কেদার যাদবের বল মিডউইকেটে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক। বিদায়ের আগে ৮৫ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৬১ রান করেন মুশি।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই ছিলেন শেষ ভরসা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড় স্কোর এনে দিতে পারতেন। কিন্তু পারলেন না। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহ। জসপ্রিত বুমরাহর লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২৫ বলে ৩টি চারে ১৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কঠিন চাপেও টলেন না! হাল ধরতে পারেন। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক তেমন মুহূর্তেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। সাকিবের সঙ্গে ২২৪ রানের জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন জয়। মাহমুদউল্লাহ পারলেন না আজ। থেমেছেন ২১ রানেই। জসপ্রিত বুমরাহর বলে হন বোল্ড।
শেষ দিকে নেমে মাশরাফি ঝড় তোলেন। ২৫ বলে ৫টি চারে ৩০* রান করেন তিনি। ১৪ বলে একটি চারে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।
ভারতের পক্ষে তিনজন বোলার নেন দুই উইকেট করে। কেদার যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহ। একটি উইকেট উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। অশ্বিন উইকেটের দেখা পাননি।
এনইউ/জেআইএম