বাঁচা মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা
হারলেই বিদায় নিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চলতি আসর থেকে। আর জিতলে পেয়ে যাবে সেমিফাইনালের টিকিট। এমন সমীকরণ নিয়ে বাঁচা মরার ম্যাচে আজ মাঠে নামবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ৩.৩০ মিনিটে। আর ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে মাছরাঙা টিভি, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস ১।
`কোনো কিছুই হারানোর নেই`- এমন ভাবনা মাথায় নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করেছিল র্যাংকিংয়ের সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। শুরুটাও হয়েছিল হার দিয়ে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৬ রানে হেরেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের দেয়া অবিশ্বাস্য টার্গেট তাড়া করে জয় পায় লঙ্কানবাহিনী। ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, চান্দিমাল ও অধিনায়ক ম্যাথিউসের ব্যাটে ভর করে আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা।
এদিকে, আনপ্রেডিকটেবল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া পাকিস্তান নিজেদের দিনে যে কোন ম্যাচে অবিশ্বাস্যভাবে জয় তুলে নিতে সক্ষম। তবে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকে। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে জয় পেয়ে আসরে টিকে আছে তারা।
তবে দু`দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান কিন্তু কথা বলছে পাকিস্তানের পক্ষেই। মোট ১৪৭ বারের দেখায় ৮৪ বারই জয় পকেটে পুরেছে তারা। যেখানে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৫৮ বার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দু`দল মুখোমুখি হয় মোট ৩ বার। এখানেও এগিয়ে পাকিস্তান। লঙ্কানদের একটি জয়ের বিপরীতে তারা জিতেছে দু`টি ম্যাচে। তবে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে আগে কখনোই মুখোমুখি হয়নি এই দুই এশিয়ান ক্রিকেট পরাশক্তি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৩ বার সেমিফাইনালে খেললেও শিরোপা এখনো ছোঁয়া হয়নি পাকিস্তানের। তবে ২০০২ সালে এই ট্রফিটি জয়ের সুখস্মৃতি আছে লঙ্কানদের।
শ্রীলঙ্কা সম্ভাব্য একাদশ: নিরোশান ডিকভেলা, দানুস্কা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (অধিনায়ক), আসেলা গুনারত্নে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, সুরাঙ্গা লাকমাল, লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ।
পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ: আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শাদাব খান, হাসান আলি, জুনাইদ খান।
এমআর/পিআর