ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইমরান খান!
১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পরই ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান। এরপর প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কেউ কখনও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলতে পারেনি। এবার কি না সেই মারাত্মক অভিযোগটিই ইমরান খানের বিরুদ্ধে করলেন পাকিস্তানের এক রাজনীতিবীদ। মুসলিম লিগের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মাহদি অভিযোগ তুলেছেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইমরান খান।
ভারতের কাছে হারের জেরে পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন বিতর্ক শুরু হয়ে গেলো ইমরান খানকে নিয়ে। ভারতের কাছে হারকে বেশ দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইমরান। তার এই মন্তব্যের রেশ শেষ হতে না হতেই অভিযোগ নিজের ক্রিকেটার জীবনে নাকি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি!
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মাহদি দাবি করেছেন, ‘ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় ফিক্সিং ম্যাচ খেলে প্রচুর টাকা রোজগার করেছেন ইমরান। ক্যারি পেকারের সিরিজ খেলে টাকা রোজগার করতে গিয়ে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ডুবিয়েছিলেন ইমরান, দাবি তার। এতেই শেষ নয়, ইংল্যান্ডে ফিক্সিংয়ের টাকায় ইমরান ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বলেও ঘুরিয়ে অভিযোগ করেন মাহদি। ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলার সময় ইমরান কীভাবে ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন মাহদি।
কিভাবে জড়িয়েছিলেন? মাহদি জানিয়েছেন, ‘১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইমরান এমন সময় বোলিং করতে অস্বীকার করেন, যখন দলের তাকে প্রয়োজন ছিল।’মাহদি দাবি করেছেন, সেই সময়ের ঘটনাটির একটি তদন্ত হওয়া উচিৎ। আরও তদন্ত হওয়া উচিৎ, ইমরান সেবার অনেকগুলো ডাক মেরেছিলেন- সে ঘটনারও। কারণ সে, ওই ডাক মেরেছিল টাকার বিনিময়ে।’
সে বছরই লল্ডনে ইমরানের ফ্ল্যাট কেনার ঘটনা সামনে নিয়ে আসার মধ্যে দিয়েই, ফিক্সিংয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহদি। তিনি বলেছেন, ‘ইমরান খান দলের এক নম্বর স্ট্রাইক বোলার হয়েও বল করেননি। সেটা করে ঠিক কী পেয়েছিলেন, যদি ঠিক মতো তদন্ত হয়, তা হলেই বোঝা যাবে।’
ইমরানের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের স্বপক্ষে অন্য এক অঙ্কের কথাও বলেছেন মাহদি। ইমরান খান তার ক্রিকেট জীবনে কতবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, সে নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন মাহদি। পাকিস্তান ক্রিকেট মহল এ বিষয়ে সেভাবে এখনও মুখ খোলেনি। ইমরান আর মেহেদি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাই ইমরানকে আক্রমণের মধ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ দেখছেন অনেকে।
আইএইচএস/জেআইএম