পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিল না ভারত
যত গর্জাল, তত বর্ষাল না। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অনেক উত্তেজনা ছিল। মহারণ বলেই আখ্যা পেয়ে গিয়েছিল ম্যাচটি; কিন্তু মাঠের লড়াই হলো এক পেশে। একতরফাভাবে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিল না। রীতিমত বিধ্বস্ত করে বৃষ্টি আইন ডিএল মেথডে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দলকে।
বৃষ্টির কারণে শুরুতে দু’দলের কাছ থেকে ২ ওভার করে কেটে নেয়া হয়। ৪৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে ভারত।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ব্যাট শুরু করার পর দু’বার বৃষ্টি হানা দেয়। যার ফলে পাকিস্তানের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ২৮৯ রান।
এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে গিয়ে ৩৩.৪ ওভারে ১৬৪ রানেই অলআউট হয়ে গেলো সরফরাজ আহমেদরা। ভারতীয় পেসাররা রীতিমত আগুণ ঝরিয়েছেন। উমেষ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ারা নিয়েছেন পাকিস্তানের ৬ উইকেট। ২টি নেন স্পিনার জাদেজা। একজন রানআউট এবং একজন ব্যাটই করতে পারেননি।
পাকিস্তানের ইনিংস যখন দ্বিতীয়বার বৃষ্টির কবলে পড়লো, তখন ৪১ ওভারে ২৮৯ রানের লক্ষ্য বেধে দেয়া হলো তাদের সামনে। বৃষ্টি যদি আবারও এসে যায় এবং খেলা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে রান রেট যেন বাড়িয়ে রাখা যায়, এ চিন্তা থেকে দ্রুত ব্যাট চালাতে শুরু করে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।
এতে না আসলো রান, না পারলো উইকেট টিকিয়ে রাখতে। আহমেদ শেহজাদ আর বাবর আজম ফিরে যান ৬১ রানের মাথায়। ৯১ রানের মাথায় আউট হন পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক আজহার আলি। ৬৫ বল মোকাবেলা করে তিনি করেন ৫০ রান। মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৩৩ রান।
শোয়েব মালিক এবং সরফরাজ আহমেদ করেন ১৫ রান করে। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাদাব খান। উমেষ যাদব নেন ৩ উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা নেন ২টি করে উইকেট এবং ১ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার।
আর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার ৯১, কোহলির অপরাজিত ৮১, শিখর ধাওয়ান ৬৮ এবং যুবরাজের ৩২ বলে ৫৩ রানের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান সংগ্রহ করে ভারত।
আইসিসি ইভেন্টগুলোতে এখনও পর্যন্ত ১৪বার মুখোমুখি হয়ে ১২ বার হেরেছে পাকিস্তান। জিতেছে ২ বার। তাও এই দুটি জয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
আইএইচএস