‘শক্তিশালী’ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ‘দুর্বল’ শ্রীলঙ্কা
ক্রিকেটে শক্তিশালী শব্দটা বেশ আপেক্ষিক। মাঠের লড়াইয়ে অনেক শক্তিশালী দলও নিমিষেই কুপোকাত হয়ে যায়। তবে মাঠে নামার আগে কাগজে-কলমে এমনকি শক্তি ও সামর্থ্যে শক্তিশালী বাছাই করে নিতে কারও অসুবিধা হয় না। মাঠের লড়াই পরে যা হয় হোক; মাঠে নামার আগে তো কাউকে না কাউকে দুর্বল, কাউকে না কাউকে শক্তিশালী বানিয়ে ছাড়ে সবাই।
তেমন অর্থেই আজ লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি দুর্বল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের দুর্বল বলতে কোনো বাধা নেই। কারণ, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই র্যাংকিংয়ে একধাপ পিছিয়ে চলে গেছে বাংলাদেশের পরে। সাত নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করতে যাচ্ছে তারা।
মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকানদের তুলনায় শ্রীলঙ্কা বলতে গেলে একেবারেই চুনোপুটি। র্যাংকিংয়ে প্রোটিয়ারা রয়েছে এখন এক নম্বরে। শ্রীলঙ্কা সাত নম্বরে। লড়াইটা তাই তুমুল অসম...। শুধু দলগত অবস্থান কেন, ব্যক্তিগত র্যাংকিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকানদের চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা।
যেখানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষ দশে দক্ষিণ আফ্রিকার চারজন ব্যাটসম্যান, সেখানে শ্রীলঙ্কান যিনি সেরা, তার অবস্থা ২৬ নম্বরে। তাও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। যার এখনও পর্যন্ত খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। বোলারদের র্যাংকিংয়ে কাগিসো রাবাদা এবং ইমরান তাহির দখল করে রয়েছেন শীর্ষ দুটি অবস্থান, সেখানে লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সেরা র্যাংকিং সুরঙ্গা লাকমালের। তার অবস্থান ২৪।
এ তো গেলো র্যাংকিংয়ের কথা। দু’দলের সাম্প্রতিক মুখোমুখি অবস্থানের কথা বিচার করলেও শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে অনেক দুর। কিছুদিন আগেই প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হয়ে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে লঙ্কানরা। সুতরাং, এই যখন পরিস্থিতি তখন লঙ্কানদের ভালো কিছু করার আশা সুদুর পরাহতই বলা যায়।
তবুও লঙ্কানরা স্বপ্ন দেখছে লাসিথ মালিঙ্গাকে ঘিরে। ইনজুরি থেকে ফেরা এই পেসার এখন পুরো শ্রীলঙ্কার সমস্ত আশা-প্রত্যাশা কাঁধে ভর করে রয়েছেন। কেনিংটন ওভালে তাই শ্রীলঙ্কা যদি অঘটন কিছু ঘটিয়েই ছাড়ে, তাহলে সেটা পারবেন শুধুমাত্র মালিঙ্গাই। এছাড়া বড় টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা যে ‘চোকার’- এটাও লঙ্কানদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের বিধ্বস্ত করে ছেড়েছিল তারা। তবুও, সিরিজ পরাজয়ের কারণে মানসিক দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকবে তারা, এটা বলাই যায়। লঙ্কানরা যদি এই সুযোগটা গ্রহণ করতে পারে, তাহলে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আইএইচএস/জেআইএম