ইংল্যান্ডকে ৩০৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীমের অসাধারণ জুটি। ১৬৬ রানের অসাধারণ এই জুটির ওপর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৩০৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ১২৮ এবং মুশফিকুর রহীমের ৭৯ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩০৫ রান।
শুরুটা ছিল ধীর গতির। তবে আস্তে আস্তে উইকেটে মানিয়ে নিয়ে রানের চাকা সচল করা শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম-সৌম্য। সৌম্যের বিদায়ের পর ইমরুল ফিরলেও মুশফিককে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান।
তবে ইনিংসের ৪৫তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটের পরপর দুই বলে তামিম এবং মুশফিকের উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। না হয় নিশ্চিত বাংলাদেশের রান অন্তত ৩২০ পার হয়ে যেতো। শেষ পর্যন্ত এই ১৫/২০ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে!
ইংল্যান্ডের আবহাওয়া নিয়ে আগে কোন কিছুই বলা যায় না। দ্রুত বদলায় এর রূপ। ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে বোলিং কন্ডিশনে তাই দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকে তামিম-সৌম্য। দলীয় পাঁচ ওভারে এ দুই ওপেনারকে যেন অপরিচিত মনে হয়। তবে আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হয় দুই ব্যাটসম্যান। ইংলিশ বোলারদের উপর চড়াও হয়ে চার ছয়ে রানের গতি সচল করে।
আর এই সময়ই ঘটে বিপর্যয়। ইংলিশ অলরাউন্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি মারার মতোই ছিল। সৌম্যর আপার কাটে সহজ ক্যাচ যায় সরাসরি ডিপ কাভারের ফিল্ডিং করা বেয়ারস্টর কাছে। ৩৪ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ২৮ রান।
সৌম্যের বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি করে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দেয় ইমরুল। তবে লিয়াম প্লানকেটের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ করতে গিয়ে ধরা পড়েন মার্ক উডের হাতে। মিড অন থেকে খানিকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে দুই হাতেবল মুঠোয় নেন তিনি।
ইমরুলের বিদায়ের পর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলের বিপর্যয় কাটিয়ে তোলেন তামিম। তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। মুশফিকও কম যাননি। তামিমকে সঙ্গ দিয়ে তুলে নেন নিজের পঁচিশতম হাফ সেঞ্চুরি। আর এ দুইজনের জুটি ১৫০ পেরিয়ে গেছে।
আইএইচএস/পিআর