ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে কি বাংলাদেশ?

প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ০১ জুন ২০১৭

৯ মার্চ, ২০১৫। দিনটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয়। সেদিন বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছিলেন টাইগাররা। জয়টা খুব বড় ব্যবধানের নয়। ইয়ন মরগানের নেতৃত্বধীন ইংলিশ বাহিনীকে ১৫ রানে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ।

সেই জয়ের সুবাদে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। অপরদিকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম ও সৌম্য সরকার।

বাকিরা তেমন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। দুই অঙ্কে পা রাখা আরেক ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান করেছিলেন ১৪ রান। তারপরও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৭৫ রান। ইংল্যান্ডের সামনে ২৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দেন টাইগাররা।

cheer-up

রান আউটে কাটা পড়ার আগে ১৩৮ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০৩ রানের ‘মহাকাব্যিক’ এক ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। মুশফিক খেলেছিলেন ৮৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার ৭৭ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ ৮টি চার ও একটি ছক্কায়। সৌম্য সরকার ৪০ রান করেছিলেন ৫২ বল খেলে।

২৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইল্যান্ডের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দারুণ ব্যাট করেন। ইয়ন বেল করেন ৬৩ রান। অ্যালেক্স হেলস নামের পাশে যোগ করেন ২৭ রান। জো রুটের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। ওপেন করা নামা মঈন আলি খেলেন ১৯ রানের ইনিংস।

শেষ দিকে জস বাটলার ও ক্রিস ওকস বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন। ৬৫ রান করা বাটলারকে ফেরান তাসকিন। পথের কাটা হয়েছিলেন ক্রিস ওকস। ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে দলকে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি।

ban

কারণটা ছিলেন রুবেল হোসেন! ক্রিস ওকসকে সঙ্গী হারা করেন বাংলাদেশি এই বোলার। দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করেন রুবেল। আর তাতে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়। পাশাপাশি নিশ্চিত হয় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটও।

এবার বিশ্বকাপ নয়, আইসিসির আরেকটি ইভেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। ঘুরেফিরে চলে আসছে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের কথা। যে ম্যাচ অনুপ্রেরণা জোগায় বাংলাদেশকে। অপরদিকে হতাশায় ডোবায় ইংল্যান্ডকে।

এবার সেই হারের প্রতিশোধের মিশনে নামবে ইংল্যান্ড। এটা তাদের জন্য বাড়তি চাপ বয়ে আনবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। অপরদিকে নির্ভার হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন টাইগাররা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা যেমন আগেভাগে চাপটা দিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকেই।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘দুদলই চাপে থাকবে। তবে আমি মনে করি- আমরা নই, ইংল্যান্ডই বেশি চাপে থাকবে। কারণ ইংলিশরা ট্রফি জিততে চাইবে। তাছাড়া ঘরের মাঠে খেলছে তারা।’

অতীত পরিসংখ্যান আশান্বিত করছে বাংলাদেশকে। তবে আগের সেই ইংল্যান্ড বোধ হয় এখন আর নেই। ইয়ন বেলই যেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন এমনটাই। তাই জিততে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দিতে হবে টাইগারদের। তাহলেই হয়তো ধরা দেয় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। সব শেষে টাইগার ভক্তদের প্রশ্নটা এমন- ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে কি বাংলাদেশ? সময়ই অবশ্য সব বলে দেবে!

এনইউ/আরআইপি

আরও পড়ুন