এমন ম্যাচও কষ্ট করে জিততে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে
৫ ওভারেই মাত্র ২০ রানে ৬জন সেরা সেরা ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা আর ওয়েইন পার্নেল। ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয় কি না ইংল্যান্ড- এই শংকাই দেখা দিয়েছিল; কিন্তু মিডল অর্ডারে জনি বেয়ারেস্ট (৫১) এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে দাঁড়িয়ে গেলেন ডেভিড উইলি (২৬) আর অভিষিক্ত টবি রোল্যান্ড জোন্স (৩৭)। তাতেই ইংল্যান্টের সংগ্রহ দাঁড়িয়ে গেলো ১৫৩ রান। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩১.১ ওভারে অলআউট হয়েছে ইংলিশরা।
জবাব দিতে নেমে দারুণ সূচনা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ১০ উইকেটের ব্যবধানেই জিতে যাবে প্রোটিয়ারা। হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি কক মিলে তুলে ফেলেন ১৫ ওভারেই ৯৫ রান। এ সময়ই এসে রোল্যান্ড জোন্সের বলে ৫৫ রানে আউট হয়ে যান আমলা। পরের ওভারেই ফিরে যান কুইন্টন ডি ককও। তিনি করেন ৩৪ রান।
ছন্দটা যেন এখানেই শেষ হতে যাচ্ছিল। কারণ, ১০১ রানের মাথায় ফিরে যান ফ্যাফ ডু প্লেসিসও। তবে জেপি ডুমিনি আর এবি ডি ভিলিয়ার্স আর ঝুঁকি নিলেন না। যে ম্যাচে ১৫ ওভারেই প্রায় শতরান হয়ে গিয়েছিল, সেই ম্যাচটি জিততে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ২৯তম ওভারে গিয়ে। ২৮.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই ৭ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৮ বলে ২৮ রানে ডুমিনি এবং ৪৩ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। জ্যাক বল ২টি এবং অভিষিক্ত রোল্যান্ড জোন্স নেন ১ উইকেট।
এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা থেকে রেহাই পেলো প্রোটিয়ারা। ২-১ ব্যবধানে যদিও সিরিজ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
আইএইচএস/পিআর