মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে সেমিতে রহমতগঞ্জ
মাঠে নামার আগে ফেবারিট ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। কিন্তু মাঠে দেখা গেলো বিপরীত চিত্র। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে আন্ডারডগ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কাছে কোন পাত্তাই পেলো না সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। পুরোনো ঢাকার ক্লাবটি হেসে খেলেই ৩-১ গোলে জিতে উঠে গেলো সেমিফাইনালে। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রহমতগঞ্জ। ২ জুন প্রথম সেমিফাইনালে তারা খেলবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে।
রহমতগঞ্জে কোনো তারকা ফুটবলার নেই। তাদের তারকা বলতে কোচ কামাল বাবু। গত প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিকে ম্যাচের পর ম্যাচ জিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল কামাল বাবুর রহমতগঞ্জ। এবার ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট ছিনিয়ে নিয়ে আবার আলোচনায় এ কোচ। ২০১১ সালে তার কোচিংয়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। এবার রহমতগঞ্জকে নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
৩২ মিনিটে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের উঁচু শটে গোল করেন মিডফিল্ডার শাহ্রান হাওলাদার। ৬৩ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার জাল কাঁপান রহমতগঞ্জের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। ৬৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন শাহ্রান। মতিউর রহমান ইনজুরি সময়ে গোল করলে মুক্তিযোদ্ধার হারের ব্যবধান কিছুটা কমে মাত্র।
আরআই/এমআর/জেআইএম