নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হলেও আইসিসির ওপর আস্থা বিসিবির
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তার আগেই ম্যানচেস্টারে ভয়াবহ আত্মঘাতি বোমা হামলা। নিহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। বহু আহত। নিখোঁজ অনেকে। এমন ভয়াবহ হামলায় কেঁপে উঠেছে পুরো ইংল্যান্ড। যেখানে ১ জুন থেকে শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সুতরাং, ক্রিকেট বিশ্বও এখন একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। ইংল্যান্ডে পাঠানো ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কা তৈরি হয়ে গেছে।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই আইসিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টা তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা তারা ঢেলে সাজাচ্ছে। জরুরী বৈঠক করছে নিরাপত্তা সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে। তবে আইসিসি যতই বিবৃতি দিক, শঙ্কাটা বাড়ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী সবগুলো দেশেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এ নিয়ে কী ভাবছে? জানতে চাওয়া হয়েছে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অবশ্যই তারা চিন্তিত। তবে, আইসিসি এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, তখন তাদের ওপর আস্থা রাখতেও রাজি বিসিবি।
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ঘটনাটা অবশ্যই চিন্তার। তবে যেহেতু এটা আইসিসির ইভেন্ট, কাজেই অবশ্যই তাদের সর্বোচ্চ নবজরদারি এর ওপর আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি আয়োজক ইংল্যান্ডের মত একটি দেশ, যারা দেশ এবং ক্রিকেট খেলুড়ে জাতি হিসেবেও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালি একটি দেশ। সুতরাং, আমাদের পুরোপুরি আস্থা আছে তাদের ওপর। এবং আমাদের বিশ্বাস, স্বাগতিক ইংল্যান্ড এবং আইসিসি শুধু আমরাই (বাংলাদেশ) না, সব প্রতিযোগি দলগুলোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।’
আস্থা রেখেই বসে থাকছে না বিসিবি। তারা ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানালেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিকভাবে আইসিসি, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এবং আমাদের বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সেখানকার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।’
প্রধান নির্বাহী মুখে এমন কথা বললেও একদম ভেতরের খবর, যেহেতু ইংল্যান্ড এর মাঝে বাংলাদেশে এসে খেলে গেছে, তাই বিসিবি খানিকটা দুর্বল ইসিবির প্রতি। তবে, সিইও এবং বোর্ড কর্তাদের সাথে আলাপে একটা সত্য বেরিয়ে এসেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা ইংল্যান্ডে না হয়ে যদি অস্ট্রেলিয়ায় হতো, তাহলে হয়তো বাংলাদেশ সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতো। বাংলাদেশে হলি আর্টিজান এবং শোলাকিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর চরম নিরাপত্তা শঙ্কার মধ্যে ইংল্যান্ড এসে বাংলাদেশে খেলে গেছে। তাই বিসিবি তাদের প্রতি খানিক সহানুভুতিশীল। এ কারণেই বিসিবির প্রধান নির্বাহীর নমনীয় কথোপকথন।’
এআরবি/আইএইচএস/এমএস