বিকেএসপিতে শুভ-রনির ব্যাটে জোড়া সেঞ্চুরি
রানরেটে এগিয়ে থাকার সুপার লিগ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে মোহামেডানের। শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। এই ম্যাচে শেখ জামাল জিতলে তাদের সুপার লিগে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে। মোহামেডান জিতলে তো কথাই নেই, সুপার লিগ শতভাগ নিশ্চিত।
এমনই সমীকরণ নিয়ে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। টস হেরে ব্যাট করতে নামা মোহামেডান রীতিমত রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে শেখ জামালের বোলারদের ওপর। জোড়া সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান।
ওপেনার শামসুর রহমান শুভ এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রনি তালুকদার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে যেন নিজেদের ক্যারিয়ারে সেরা ইনিংস খেলার প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন। সৈকত আলিকে নিযে ইনিংস ওপেন করতে নামার পর ৭৬ রানের জুটি গড়েন শামসুর রহমান শুভ।
২৮ বলে ৩৯ রান করে সৈকত আলি আউট হয়ে গেলেও রনি তালুকদারকে নিয়ে জুটি গড়েন শুভ। দু’জন মিলে গড়েন ১৭৩ রানের বিশাল এক জুটি। ঝড়ো ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নেন রনি তালুকদার এবং শামসুর রহমান শুভ দু’জনই।
৯৯ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১১০ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। এবারের প্রিমিয়ার লিগে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন রনি তালুকদার। আগের ১০ ম্যাচে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৭ রান। অথচ এই এক ম্যাচেই সব আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিলেন রনি।
শামসুর রহমান শুভর অবস্থা এতটা খারাপ না হলেও নিজের ছন্দটা ঠিক খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। একটি ইনিংস খেলেছেন ৭৪ রানের। এছাড়া বাকি ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৩৮। অবশেষে শেখ জামালকে পেয়ে যেন জ্বলে উঠলো তার ব্যাট। শুধু সেঞ্চুরি করাই নয়, নিজের ইনিংসকে নিয়ে গেলেন ১৪৪ রানে। ১৫২ বলে খেলা এই ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭টি করে চার এবং ছক্কায়।
আইএইচএস/জেআইএম