শেখ জামাল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন
দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের লড়াইটি ছিল গ্রুপ সেরা হওয়ার। সে লড়াইটা হলো হাড্ডাহাড্ডিই। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কেউ কাউকে ছাড়েনি। কোনো দলই পারেনি গোল করতে। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হয়েছে টাইব্রেকারে। শেখ জামাল টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে হারিয়ে হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ জামাল পাচ্ছে মোহামেডানকে। আর শেখ রাসেল পাচ্ছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে।
আক্রমন-পাল্টা আক্রমণে বেশ জমে উঠেছিল একই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতার দুই ক্লাবের লড়াই। দুই দলই পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের খাতা খোলা হয়নি কারো। ম্যাচের ২০ মিনিটে আমিনুল ইসলাম সজীব সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এগিয়ে যেতে পারতো শেখ রাসেল। কামরুজ্জমানের পাস থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে একটি নিচু ক্রস দিয়েছিলেন গাম্বিয়ান দাউদা সিসে। কিন্তু সজীব বলেই পৌঁছাতে পারেননি।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সুযোগটাও পেয়েছিল শেখ রাসেল। ৫১ মিনিটে সিসে ও খালেকুজ্জামান বল দেয়া-নেয়া করে বল ঠেলেছিলেন অরূপের পায়ে। কিন্তু অরূপের ভলি জমা পড়ে জামালের গোলরক্ষক সামিউলের হাতে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল দ্বিতীয়ার্ধে একটু চড়াও হয়ে খেললেও রাসেলের রক্ষণ ভাঙ্গতে পারেনি। খেলার ৬৯ মিনিটে রাফায়েলের ডানপ্রান্ত থেকে নেয়া ক্রস ফিরে আসে রাসেলের ডিফেন্ডার রাশেদুলের গায়ে লেগে। টাইব্রেকারে জামালের রাফায়েল, আলাউদ্দিন, জাহেদ পারভেজ ও মমোদৌ গোল করেন। রাসেলের একমাত্র গোলদাতা অরূপ বৈদ্য। সাঈদ ও খালেকুজ্জামানের শট ঠেকিয়ে দেন জামালের গোলরক্ষক সামিউল।
আরআই/এমআর/এমএস