দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের
মোস্তাফিজ-মাশরাফি-সানজামুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে ১৮১ রানে বেঁধে ফেলার পর দেখে শুনে ব্যাট করছে টাইগার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন দুইজন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬২ রান। তামিম ২৮ আর সৌম্য ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। সবুজ উইকেটে রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারটি মেডেনের পর মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারটিও মেডেন হয়। তবে ওভারটি মেডেনের সঙ্গে একটি উইকেটও নেন কাটার মাস্টার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন পল স্টার্লিং।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে আয়ারল্যান্ড। মোস্তাফিজ-রুবেলদের উপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল করতে থাকে অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। তবে মাশরাফির বলে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পরেননি আইরিশ অধিনায়ক। পরের ওভারেই মোসাদ্দেককে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে যান পোর্টারফিল্ড। পোর্টারফিল্ডের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না বালবিরনি। সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
চতুর্থ উইকেটে নায়াল ও’ব্রায়ানকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ইনজুরি থেকে ফেরা জয়েস। গড়ে তোলেন ৫৫ রানের জুটি। তবে এরপরই বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলে তামিম ইকবালের চমৎকার ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া নিয়াল ও’ব্রায়ান।
এদিকে চোট কাটিয়ে ফিরে বিপর্যয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়েস। নিজেও পৌঁছে গিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। তবে ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে অভিষিক্ত সানজামুলের বল লং অন দিয়ে উড়াতে মারতে গেলে তামিমের হাতে ধরা পড়েন। আর প্রথম উইকেটের দেখা পান সানজামুল। এরপর কেভিন ও’ব্রায়েনকে মোসাদ্দেক হোসেনের চমৎকার ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজ। শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসনকেও ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে অষ্টম উইকেটে বেরি ম্যাককার্থিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দুইশ`র দিকে এগিয়ে যেতে থাকে জর্জ ডকরেল। এ সময় আবার জুটি ভাঙেন সানজামুল। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ব্যারি ম্যাকার্থিকে। এরপর একই ওভারে জর্জ ডকরেল ও পেটার চেসকে মুশফিকের তালুবন্দি করেন মাশরাফি। আর আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ১৮১ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া মাশরাফি ও সানজামুল নেন ২টি করে উইকেট।
এমআর/এমএস