আবাহনীকে রুখে দিয়েছে নবাগত সাইফ
আল-আমিন হতে পারতেন ম্যাচের নায়ক। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এ মিডফিল্ডার ম্যাচের সহজ সুযোগটি পেয়েছিলেন ৭৫ মিনিটে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি বল পাঠিয়েছেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। বলটি পোস্টে রাখতে পারলেই অভিষেক ম্যাচে চমক দেখাতে পারতো গত চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ারে ওঠা ক্লাবটি। তারপরও নতুন দলটির অভিষেক ভালোই হয়েছে, ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে রুখে দিয়েই শুরু হয়েছে তাদের নতুন পথচলা। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।
দুই ক্লাবের ঠান্ডা লড়াই শুরু দলবদলের আগেই। আবাহনী ছেড়ে ৫ ফুটবলার এবার যোগ দিয়েছেন নতুন দলটিতে। তা নিয়ে পানি কম গড়ায়নি। বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে ওই ৫ ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারণে। শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের পক্ষেই রায় দিয়েছে কমিটি। মাঠের বাইরের দুই দলের ঠান্ডা লড়াইয়ের রেশটা মাঠেও ছিল। শুরু থেকেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই ছিল শক্তি প্রদর্শনের প্রবণতা। ফলে ১১ মিনিটেই লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আবাহনীর অধিনায়ক মামুন মিয়া ও সাইফের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু বর্মনকে।
২০ জনের লড়াইটা সমানতালে এগিয়ে চলার মধ্যেই প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ান এমেকা। রায়হানের লম্বা থ্রো থেকে হেডে গোল করেন শেখ জামাল ছেড়ে এ বছর আবাহনীতে নাম লেখানো এ ফরোয়ার্ড। পিছিয়ে পড়েও ভেঙ্গে পড়েনি নবাগত দলটি। বরং তারা চেষ্টা করেছে আবাহনীর রক্ষণ ভেঙ্গে ম্যাচে ফিরতে। ৬৯ মিনিটে সফল হয় তারা। অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে আবাহনীর সীমানায় ঢুকে পড়েন জুয়েল রানা। পোস্টের সামনে নিচু ক্রস দিলে চলন্তবলেই পা লাগান ইব্রাহিম। বল আবাহনীর জালে জড়ালে সমতা আসে ম্যাচে।
আবাহনী : শাহেদুল আলম সোহেল, নাসির উদ্দিন, ওয়ালি ফয়সাল, রায়হান হাসান, ইমন বাবু, এমেকা ডার্লিংটন (সামাদ ইউসুফ), ল্যান্ডিং, রুবেল মিয়া (জীবন), মামুন মিয়া, সাদ উদ্দিন ও বাদশা।
সাইফ এসসি: জিকো, আরিফ, শাকিল, তপু বর্মন, জামাল ভুঁইয়া (শওকত রাসেল), জুয়েল রানা, আল-আমিন (মতিন মিয়া), ইব্রাহিম, রহমত মিয়া, আন্দ্রেস ও ভ্যালেন্সিয়া।
লাল কার্ড : মামুন মিয়া (আবাহনী), তপু বর্মন (সাইফ এসসি)
রেফারি : মিজানুর রহমান।
আরআই/এনইউ/জেআইএম