‘ব্যাটসম্যান’ তাইজুল জেতালেন মোহামেডানকে
বল হাতে ঝলক দেখান। ঘরোয়া লিগ ও জাতীয় দলে পরীক্ষিত বোলার তিনি। তবে ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে পারেন তাইজুল ইসলাম। সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সেই প্রমাণ রাখলেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বল হাতে নিলেন ২ উইকেট। বোলার পরিচয় ছাপিয়ে ‘ব্যাটসম্যান’ তাইজুল জেতালেন মোহামেডানকে। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডানের জয়টা ২ উইকেটের। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরাও তাইজুল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার যতিন সাক্সেনা ৪ রান করতেই তাইজুলের শিকার। অপর ওপেনার জনি তালুকদার করতে পেরেছেন ২৮ রান।
অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর ৪০ রান করে এনামুল হক জুনিয়রের বলে বোল্ডআউট হন। তার ইনিংসটি পারটেক্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। রাকিন আহমেদের হার না মানা ৪৬ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ। সাজ্জাদ হোসেন নামের পাশে যোগ করেন ৩৬ রান। সর্বসাকুল্যে ২২৯ রান তোলে পারটেক্স।
মোহামেডানের সেরা বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৫৪ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাইজুল ও চারিথ আসালাঙ্কা নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এনামুল হক জুনিয়র ও সাজেদুল ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডানের শুরুটাও ভালো ছিল না। ১৬ রানের মাথায় নেই দুই উইকেট। ওপেনার সৈকত আলী (৫) ও তিনে ব্যাট করতে নামা শামসুর রহমান (১) সাজঘরে ফিরেছেন দ্রুতই। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অভিষেক মিত্র থেমেছেন ২৩ রানে।
চারিথ আসালাঙ্কার ৪৭ রানের ইনিংসটি কার্যকর। অধিনায়ক রকিবুল হাসান করেছেন ৩৪ রান। সাজেদুল ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তাইজুল। ৫১ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় হার না মানা ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
পারটেক্সের পক্ষে দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন যতিন সাক্সেনা ও ইমরান আলী। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মামুন হোসেন, নুরুজ্জামান মাসুম, বিশ্বনাথ হালদার ও রাজিবুল ইসলাম।
এনইউ/জেআইএম