জয় দিয়েই ফাইনালে জুভেন্টাস
শেষ চারের প্রথম লেগের জয়ে আগেই ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে ছিল জুভেন্টাস। তবে মোনাকোর সামনে সুযোগ ছিল ইতিহাস সৃষ্টি করে কোন অঘটন ঘটানোর। নিজেদের মাঠে ফরাসি ক্লাবকে সেই সুযোগ দেয়নি ইতালি চ্যাম্পিয়নরা। ফিরতি লেগেও ২-১ গোলের জয় নিয়ে (দুই লেগ মিলে ৪-১) কার্ডিফের ফাইনালে পৌঁছেছে আল্লেগ্রির শিষ্যরা।
নিজেদের মাঠে হারা মোনাকো ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণ করে খেলতে থাকে। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে স্বাগতিকদের রক্ষণশিবির। এরই মধ্যে ম্যাচের দশম মিনিটে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিক দলের জার্মান তারকা সামি খেদিরা।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় জুভেন্টাস। ম্যাচের ২২ মিনিটে গোলের সুযোগও পায় স্বাগতিক শিবির। তবে হিগুয়াইন গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে দিকে পাঠালেও শটে তেমন জোর না থাকায় ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার কামিল গ্লিক। তিন মিনিট পর হিগুয়াইনের পাস থেকে বল পেয়ে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন মারিও মানজুকিচ।
তবে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে জুভেন্টাসকে এগিয়ে নেন মানজুকিচ। আলভেসের ক্রস থেকে তার হেড কোনোমতে ঠেকান মোনাকোর গোলরক্ষক। ফিরতে বলে বুলেট গতির শট আর ফেরাতে পারেননি তিনি। আর বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভেজ। গোলরক্ষকের ফিস্ট থেকে বল পেয়ে জোরালো ভলিতে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিক শিবির। তবে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে পাল্টা এক আক্রমণে মোনাকোর হয়ে গোল করেন এমবাপে। চলতি আসরে ১২ ম্যাচে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার জুভেন্টাসের জালে বল জড়াল। বাকি সময় আর গোল না হলে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে তুরিনোর দলটি।
এদিকে আরেক সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে আজ মুখোমুখি হবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে রোনালদোর হ্যাটিট্রিকে ৩-০ ব্যবধানে জেতা রিয়াল ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
এমআর/আরআইপি