আশরাফুলের কলাবাগানকে হারিয়ে পারটেক্সের প্রথম জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ৬ষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত পুরোপুরি জয়হীন দুটি দল। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব এবং ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। সপ্তম রাউন্ডে এসে এই সংখ্যা একটি কমলো। প্রথম জয়ের দেখা পেলো পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। তারা ৬২ রানে হারিয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আশরাফুলের কলাবাগানের সামনে ২৭৯ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। জবাব দিতে নেমে ৪৬.১ ওভারেই ২১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কলাবাগান। মূলতঃ পারটেক্সের অচেনা এক বোলার ইমরান আলির কাছেই পরাস্ত হয় মোহাম্মদ আশরাফুলের দল।
২৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কলাবাগানের ইনিংস ওপেন করেন মেহরাব জুনিয়র এবং মোহাম্মদ আশরাফুল। ১১ রান করে ফিরে যান মেহরাব। ২৪ বল খেলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান আশরাফুল। এরপর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজা একটু চেষ্টা করেছিলেন বড় জুটি গড়ে তোলার। ৬৭ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন এ দু’জন। এ সময় ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান জসিম উদ্দিন।
আশরাফুলের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ৩৪ রান করেন তাসামুল হক। বিসিএলে রানের ফোয়ারা বইয়ে দেয়া তুষার ইমরান আউট হয়ে যান শূন্য রান করে। ৩৪ রান করেন নুরুজ্জামানও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে কলাবাগান অলআউট হয়ে যায় ৪৬.১ ওভারে ২১৬ রানেই।
পারটেক্সের বোলার ইমরান আলি ৭.১ ওভারে একাই নেন ৫ উইকেট। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হন তিনি। ২ উইকেট নেন মামুন হোসেন। ১টি করে উইকেট নেন নুরুজ্জামান মাসুম, জাকারিয়া মাসুদ, রাজিবুল ইসলাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পারটেক্স। দুই ওপেনার জনি তালুকদার এবং জতিন সাক্সেনার ৪৮ রানের জুটিতে ভালোই সূচনা করে তারা। ২৯ রান করে আউট জন জনি। যতিন সাক্সেনা করেন ৩৪ রান। ৪৬ রান করে আউট হয়ে যান সাজ্জাদ হোসাইন। সাজ্জাদ আউট হওয়ার পর ৯৫ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর আর সাজ্জাদুল হক।
ইরফান ৫৮ রান করে রানআউট হয়ে যান। এরপর ৫৩ রান করে আউট হন সাজ্জাদুল হক। ১৭ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজিবুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব।
আইএইচএস/জেআইএম