হ্যাটট্রিক করে ডোপ পরীক্ষা দিতে হয়েছিল রোনালদোকে
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ টের পেয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কী জিনিস। চিতার মত ওঁতপেতে থাকেন, বাজপাখির মত বলটা ছোঁ মেরে উড়িয়ে নিয়ে যান। জড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের জালে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের মত হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। নিজেদের মাঠে প্রায় ৮০ হাজারের ওপর দর্শকের চাপ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সেই চাপ একা সামাল দিলেন, দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে দলকে জয়ই এনে দিলেন না, পৌঁছে দিলেন একেবারে ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই সতীর্থরা চাইবেন তাকে নিয়ে উল্লাস করতে। তাকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়ে দিতে; কিন্তু কী আশ্চর্য, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ জেতানোর পর রোনালদোর কোনো নাম গন্ধও নেই। তাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য খুঁজেও পাচ্ছেন না অধিনায়ক সার্জিও রামোস।
কী ব্যাপার? কারণ খুঁজতে গিয়ে জানলেন, রোনালদোকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডোপ পরীক্ষা করানোর জন্য। যে হ্যাটট্রিক করে দলকে জিতিয়েছেন, সেটা বৈধ কি না তা পরীক্ষা করতে হবে না! সে বৈধতা দেয়ার জন্যই মূলতঃ ক্লাবের পক্ষ থেকে ডোপ পরীক্ষা করা হয়েছে সিআর সেভেনের। কোনো পারফরমারের ক্ষেত্রে এটা অবশ্য নিয়মিত ঘটনাই। বিষয়টা জানিয়েছেন খোদ সার্জিও রামোস নিজে।
অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচের প্রথমার্ধে দুর্দান্ত এক হেডে রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সিআর সেভেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি এসে দ্বিতীয় গোল এবং শেষ দিকে এসে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এবং দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ১০৩টিতে।
রিয়াল তারকা ড্রাগ টেস্টের খবর জানিয়ে রামোস বলেন, ‘ম্যাচের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডোপ টেস্টের জন্য। এ কারণে আর তাকে দেখতে পাইনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে রামোস বলেন, ‘অবশ্যই রোনালদো যখন দুর্দান্ত ফর্মে থাকে, রিয়াল মাদ্রিদও থাকে সবার শীর্ষে। আমি চেয়েছিলাম তাকে অভিনন্দন জানাতে। কারণ, তিনি হলেন সেরা, ইউনিক। যখন তিনি ভালো ফুটবল খেলেন, তখন মাদ্রিদও থাকে ভিন্ন একটি দল।’
আইএইচএস/জেআইএম