ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট মানেই বিশ্বকাপও শেষ ভারতের

প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ০৩ মে ২০১৭

আইসিসির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে যদি ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করে, তাহলে আখেরে চরম মূল্য দিতে হবে তাদেরকেই। এই এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা মানেই আগামী বিশ্বকাপসহ আইসিসি আয়োজিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না তারা। এ কারণে, এখন খুব সতর্কতার সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা না করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে ভারত।

আইসিসির সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে এবং বাইরে। যে আলোচনায় যোগ দেন বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর, এন শ্রীনিবাসন থেকে শুরু করে অনেকেই।

বিসিসিআইয়ের বর্তমান কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) সঙ্গে আলোচনায় অনেকেই মত দেন আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানোর জন্য। অনুরাগ ঠাকুর তো সরাসরিই মত দিলেন এ ব্যাপারে। কেউ কেউ বলছে, আইসিসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যে মেম্বার্স পার্টিসিপেশন এগ্রিমেন্ট রয়েছে (এমপিএ) সেটা থেকে যেন ভারত বেরিয়ে আসে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করে।

কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিওএ চেয়ারম্যান বিনোদ রাই পুরো প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তিনি জানিয়ে দেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা যাবে না। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা মানেই এমপিএ’র শর্ত লঙ্ঘণ করা। আর শর্ত লঙ্ঘণ করার অর্থ হলো, শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই নয়, আট বছর মেয়াদি আইসিসির নতুন আর্থিক মডেলের যে সাইকেল, তার মধ্যে কোনো টুর্নামেন্টেই আর অংশগ্রহণ করতে না পারা।

২০১৫ থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই আট বছরে কয়টি টুর্নামেন্ট রয়েছে আইসিসির? হিসেব করে দেখা যাচ্ছে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ১৪টি টুর্নামেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ রয়েছে। আছে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (২০১৭ এবং ২০২১), দুটি নারী বিশ্বকাপ (২০১৭ এবং ২০২১), তিনটি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০১৮, ২০২০, ২০২২), ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তিনটি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (২০২১)।

বিনোদ রাই, সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন- হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে যেন বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন না হতে হয়। তবে তিনি এটা জানিয়েছেন, বিসিসিআিইয়ের ৩০টি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার একটি জরুরি বোর্ড মিটিং আয়োজন করে আইসিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানোর ব্যপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তাহলেই কেবল, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যায়।

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন