শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটে জিতল দোলেশ্বর
শুরু করেছিলেন শূন্য দিয়ে। অর্থাৎ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচে পারটেক্সের বিপক্ষে রানের খাতাই খুলতে পারেননি শাহরিয়ার নাফীস। দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন ১৬ রান। এরপর তিনটি ম্যাচ খেলেছেন, ওই তিন ম্যাচেই ত্রিশোর্ধ্ব রান করেছেন। প্রাইম দোলেশ্বরের এই ব্যাটসম্যান রানে ফেরার আভাসটা দিয়ে রেখেছিলেন তখনই।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার যেমন নাফীসের ব্যাট আরও চওড়া হলো। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছেন ৭৮* রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস। ১২৫ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি প্রাইম দোলেশ্বরকে এনে দিয়েছে ৭ উইকেটের বড় জয়।
ম্যাচটিতে প্রাইম দোলেশ্বরের জয়ে দেলোয়ার হোসেনের অবদানও অসামান্য। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৮০ রানে বেঁধে ফেলার কৃতিত্ব তো তারই। ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আট ওভারের মধ্যে মেডেনই চারটি; রান খরচ করেছেন মোটে ১৭টি। স্ট্রাইক রেট ২.১২! অসাধারণ এই পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরাও হয়েছেন দেলোয়ার। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজাও।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে অবিচল ছিলেন জাকির হাসান। দলটির এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি। যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ১০৩ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। আসিফ আহমেদ করেছেন ৩৩ রান। আরিফুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান। অধিনায়ক মেহেদী মারুফ ১০ রানেই থেমেছেন।
১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারাতে হয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরকে। প্রথম উইকেটটি হারিয়েছে ৫ রানের মাথায়। ওপেনার আব্দুল মজিদ দলের স্কোরশিটে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। অপর ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনও ১১ রান করতেই আল-আমিন হোসেনের শিকারে পরিণত হন।
তৃতীয় উইকেটে মার্শাল আইয়্যুবকে নিয়ে ১২৩ রানের জুটি গড়েন নাফীস। এই জুটিই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ৬২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন মার্শাল। জাকির আলীকে (১৭*) নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নাফীস।
এনইউ/এমএস