সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ বাড়ল বাংলাদেশের
বেঁধে দেয়া সময়টা চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে র্যাংকিংয়ে সেরা আটটি দলই সরাসরি খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। বেধে দেয়া সময় শেষ হতে এখনও প্রায় ৫ মাস বাকি। তার আগেই বলে দেয়া যায়, বিশ্বকাপের সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ আরও বাড়ল টিম বাংলাদেশের। যদিও সদ্য প্রকাশিত আইসিসি র্যাংকিংয়ে রেটিং পয়েন্ট কমেছে টাইগারদের। তবুও কীভাবে সুযোগ বাড়ল? এমন প্রশ্নই চলে আসছে।
২০১৫ এবং ২০১৬ মৌসুমে ঘরের মাঠে টাইগাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ। এ বছরের এপ্রিল শেষে আইসিসি যে সংশোধিত র্যাংকিং প্রকাশ করে, সেখানে দেখা যাচ্ছে টাইগারদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। আগের অবস্থানেই রয়েছে তারা। অথ্যাৎ সাত নম্বরেই। অবস্থান ধরে রাখলেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্টে এসেছে পরিবর্তন।
প্রতিটি সিরিজের পর এমনিতেই র্যাংকিং আপডেট হয়ে থাকে। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে একটা বার্ষিক র্যাংকিং করে থাকে আইসিসি। সেটা এপ্রিলের শেষের দিকে। এই বার্ষিক র্যাংকিংয়ে হিসেব করা হয় আগের তিন বছরের খেলার পয়েন্ট। সর্বশেষ এক বছরের ম্যাচগুলোর অর্জিত পয়েন্টের পুরোটা নেয়া হয় এই হিসেবে। সঙ্গে যোগ করা হয় আগের দুই বছরের ম্যাচগুলোর পয়েন্টের অর্ধেক।
সে হিসেবে ২০১৬ মে থেকে গত এক বছরের পূর্ণ পয়েন্ট, সঙ্গে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের খেলার অর্ধেক পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের র্যাংকিং পয়েন্টে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে অবিস্মরণীয় সাফল্য পেয়েছিল। সেই সময়ের পাওয়া পয়েন্ট অর্ধেক যোগ হয়েছে এবার। তবে গত বছরের রেটিংয়ে ২০১৫ সালের শতভাগ যোগ হওয়া, সেটা এবার কমে অর্ধেক হওয়ার কারণেই মূলতঃ ১ রেটিং পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। তারওপর, গত এক বছর তো বাংলাদেশ খুব বেশি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেওনি।
এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি ম্যাচ হেরেছে মাশরাফি বাহিনী। তার প্রভাব পড়েছে রেটিং পয়েন্টে। যে কারণে আজ প্রকাশিত আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে টাইগারদের পয়েন্ট কমেছে ১। আগের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৯২, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯১-এ।
রেটিং কমে যাওয়ার পরও বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন উজ্জল হয়েছে। এর কারণ হলো, টাইগারদের আশেপাশে থাকা দলগুলোরও রেটিং পয়েন্ট কমেছে। অষ্টম স্থানে থাকা পাকিস্তানের কমেছে ২ রেটিং পয়েন্ট। ৯০ থেকে কমে এখন সরফরাজ আহমেদের দলের পয়েন্ট এখন ৮৮।
নবম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট এখন ৭৯। হারিয়েছে ৪ রেটিং পয়েন্ট। এর অর্থ, বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান ১২। আসন্ন সিরিজগুলো তথা আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বড় ধরনের বিপর্যয় না ঘটলে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপেই খেলবে। এটা প্রায় নিশ্চিত।
এছাড়া বাংলাদেশের সামনে আরেকটি সুযোগ রয়েছে। টাইগারদের ঠিক ওপরে থাকা অর্থাৎ র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থানধারী শ্রীলঙ্কাকে টপকে যাওয়ার। লঙ্কানদের কমেছে ৫ রেটিং পয়েন্ট। বর্তমানে তাদের পুঁজি ৯৩ পয়েন্ট। বাংলাদেশের সঙ্গে লঙ্কানদের রেটিং ব্যবধান মাত্র ২। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচে হারালে এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ জিতলেই র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে যাবে মাশরাফির দল।
এনইউ/আইএইচএস/পিআর