শুভর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মোহামেডানের জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের আগের ম্যাচেই নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে জয় পায় মোহামেডান। এবার সে ধারা ধরে রেখে টানা দ্বিতীয় জয় তুল নিয়েছে দলটি। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়ছে তারা। বল হাতে দারুণ বোলিং করার পর ব্যাট হাতেও ঝলসে ওঠেন শামসুর রহমান শুভ।
রোববার সাভারের বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। জবাবে ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান।
এদিন ভিক্টোরিয়ার দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই সৈকত আলিকে হারায় মোহামেডান। তবে আরেক ওপেনার রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন শুভ। দলীয় ৪৮ রানে রনি বিদায় নিলে অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন শুভ।
তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি রকিবুল। ব্যক্তিগত ২০ রানে অধিনায়ক ফিরে গেলে অভিষেক মিত্রকে নিয়ে ৭২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন শুভ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন শুভ। ৭৭ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মাহবুবুল আলম, মইনুল ইসলাম ও মনির হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে ভিক্টোরিয়া। দুই ওপেনার ৩৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন। তবে এরপরই মোহামেডানের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে পড়ে দলটি। তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক জুনিয়র ও শামসুর রহমান শুভর বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে মাত্র ১৫৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার রুবেল মিয়া। এছাড়া মইনুল ইসলাম করেন ২৭ রান। মোহামেডানের পক্ষে ৩৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৩১ রানে ৩টি উইকেট পান এনামুল হক জুনিয়র। এছাড়া শামসুর রহমান শুভ ২টি ও আজিম ১টি উইকেট নেন।
আরটি/আইএইচএস/পিআর