জাতীয় দলের টাইটেল স্পন্সর হচ্ছে কে?
৩১ মে শেষ হচ্ছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির সংঙ্গে বর্তমান টিম স্পন্সরশিপের মেয়াদ। তার আগেই ঠিক হয়ে যাবে জাতীয় দলের নতুন স্পন্সর। ক্রিকেটপাড়ায় জোর গুঞ্জন, বিপুল উৎসাহ-আগ্রহ, কে হচ্ছে জাতীয় দলের নতুন স্পন্সর? আগামী জুন থেকে পরবর্তী দুই বছর মানে ২০১৯-এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত টিম বাংলাদেশের টাইটেল স্পন্সর হবে কোন কর্পোরেট হাউজের কোন ব্র্যান্ড?
মাশরাফি, তামিম, সাকিবদের গায়ে লাল-সবুজ জার্সিতে কোন কর্পোরেট হাউজ কিংবা ব্র্যান্ডের লোগো ও নাম অঙ্কিত থাকবে? তা জানতে উন্মুখ কোটি বাংলাদেশি ভক্ত, সমর্থক ও অনুরাগী।
সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তা নির্ধারিত হয়ে যাবে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩ মে প্রকাশ্য নিলামেই নির্ধারিত হবে জাতীয় দলের নতুন স্পন্সরশিপ।
তার আগে আরও দুটি ধাপ আছে। যার প্রথম ধাপ ছিল শিডিউল কেনা। আজ বিকেল ৫টায় শেষ হলো ওই শিডিউল ক্রয় পর্ব। বিসিবি সিইও নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন অবস্থানগত কারণে স্পন্সরশিপে আগ্রহী কর্পোরেট হাউজের নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করলেও বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের এক নির্ভরশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, দেশের চার-পাঁচটি অন্যতম শীর্ষ কর্পোরেট হাউজ বাংলাদেশের গর্ব জাতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী স্পন্সর হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আগ্রহী কর্পোরেট হাউজগুলোর মধ্যে ‘প্রাণ গ্রুপ’ অন্যতম। জানা গেছে, টিম বাংলাদেশের স্পন্সর হতে আগ্রহী প্রাণ গ্রুপ। দেশপ্রসিদ্ধ এ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কোনো বিশেষ প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডের নামেই হয়তো জাতীয় দলের টিম স্পন্সরশিপ স্বত্ব কিনতে আগ্রহী প্রাণ গ্রুপ।
এছাড়া গ্রামীণফোন এবং বর্তমান টিম স্পন্সর রবিও শিডিউল কিনেছে বলে জানা গেছে। এ তিন নামি কর্পোরেট হাউজের বাইরে মেঘনা গ্রুপের ‘ফ্রেশ’ আর বিকাশও জাতীয় দলের স্পন্সর হওয়ার প্রক্রিয়ায় নাম লিখিয়েছে। শিডিউল কেনা কর্পোরেট হাউজগুলোকে এরপর তাদের প্রস্তাব লিখিত আকারে দিতে হবে।
লিখিত প্রস্তবসমূহ বোর্ডের শর্ত পূরণ করতে পারলেই প্রকাশ্য নিলামে অংশগ্রহণের অনুমতি মিলবে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন জাগো নিউজের সাথে আলাপে জানান, ‘২ মে আগ্রহী কর্পোরেট হাউজগুলো তাদের প্রস্তাব পেশ করবে। বোর্ডের আইনজীবী ও কমার্শিয়াল কমিটির সংশ্লিষ্টরা তা খুঁটিয়ে দেখবেন। বিসিবির আইনজীবী ও বাণিজ্যিক কমিটি অর্থনৈতিক প্রস্তাবসমূহ বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করে দেখে অনুমোদন দিলেই কেবল টিম স্পন্সরশিপের নিলামে অংশ নেয়া যাবে।’
তার মানে, ৩ মে টিম স্পন্সরশিপের নিলামে কোন কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে, তা জানতেও ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
এদিকে আগামী দুই বছরের জন্য টিম স্পন্সরশিপে বিসিবি বেশ চড়া মূল্য আশা করছে। বোর্ডের সর্বশেষ সভায় ২০১৭-২০১৯ সালে টিম বাংলাদেশের স্পন্সরশিপের ফ্লোর প্রাইস ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। এখন দেখা যাক, কোন কর্পোরেট হাউজ শেষ পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে কত বেশি দিয়ে টাইগারদের টিম স্পন্সর হয়?
এআরবি/এনইউ/আরআইপি