আইনজীবী হতে আট মাসেই ছাড়লেন ক্রিকেট
অভিষেকটা বাংলাদেশের বিপক্ষেই। গত বছর অক্টোবরে। তাও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে, ঢাকায়। এরপর বাংলাদেশ এবং ভারত সিরিজসহ খেলেছেন মোট ৩ টেস্ট। অলরাউন্ডার জাফর আনসারির ক্যারিয়ার বলতে এটুকুই। এর আগে ২০১৫ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। যদিও ব্যাট হাতে নামতে হয়নি, বলও করতে হয়নি তাকে। সেবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ডাক পেলেও আঙ্গুল ভেঙে যাওয়ার কারণে আর খেলা হয়নি।
ক্যারিয়ারটা হিসেব করলে তাই দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৩ টেস্টের, আট মাসের ক্যরিয়ার। এরপরই ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়ে দিলেন অলরাউন্ডার জাফর আনসারি। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয়, সব ধরনের ক্রিকেটেই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
হঠাৎ করেই কেন, মাত্র ২৫ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন আনসারি? অবাক সবাই। তবে নিজেই আসল কারণটা জানিয়ে দিলেন তিনি। ক্রিকেট তার নেশা। তবে একে পেশা হিসেবে নিতে চান না তিনি। স্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
এবার তাকে নজর দিতে হচ্ছে আসল ক্যারিয়ার গঠনের। আইন ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে নিতে চান তিনি। হতে চান একজন সফল আইনজীবী। এ কারণেই মূলতঃ ক্রিকেট ছেড়ে দিলেন আনসারি। এবার তার মিশন একজন সফল আইনজীবী হওয়া।
জাফর আনসারি নিজেই অবসর ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমার মাথায় ভিন্ন চিন্তা। আমি এখন ক্যারিয়ারের অন্য একটি বিষয়কে প্রস্ফুটিত করতে চাই। সম্ভবত সেটা আইন এবং এ ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ার জন্য আমাকে এখনই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ৮ মাসের হলেও পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ার কিন্তু আনসারির ৭ বছরের। আর সব মিলিয়ে ক্রিকেট খেলছেন প্রায় দুই দশক। অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে নিজের এ দিকটার প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সাত বছর এবং দুই দশকেরমত সময় খেলাটার সঙ্গে যুক্ত। এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখানেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার জন্য ছিল খুবই কঠিন।’
কাউন্টিতে সারের হয়ে সেই ছোট বেলা থেকেই খেলে আসছিলেন তিনি। নিজেই জানালেন সে কথা, ‘সারের হয়ে আমি আট বছর বয়সে খেলা শুরু করেছিলাম। এই ক্লাবটা আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে পরিণত হয়েছে। সব সময়ই সর্বাবস্থায় সারে আমাকে সহযোগিতা করে গিয়েছে। এভাবে আমাকে সহযোগিতা করায় তাদের প্রতি আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এই ক্লাবকে এখন গুডবাই বলতে হচ্ছে, সত্যিই এটা আমার জন্য অনেক কষ্টের।’
আইএইচএস/এমএস