নাসির-মুমিনুলে দারুণ জয় গাজীর
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন মুমিনুল হক। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের আগের সেরা ইনিংসটি ছিল ১২৯ রানের। সেটাকে ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট খ্যাত এই ক্রিকেটার। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরেরর বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে এবার খেললেন ১৫২ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। তার ১২০ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ১৬টি চার ও ছয় ছক্কায়। ফরহাদ রেজার শিকার তিনি।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাসির হোসেনও। গাজী অধিনায়ক পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৭৬ বলে করেছেন ৬৪ রান। তার ইনিংসটি সমৃদ্ধ ৭টি চার ও একটি ছক্কায়। আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন নাসির। বল হাতেও সফল নাসির হোসেন। ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি আর নাসিরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ৩৫ রানের দারুণ জয় পেয়েছে গাজী। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩০৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। জবাবে ২৭২ রানে থামে প্রাইম দোলেশ্বরের ইনিংস।
মুমিনুল ছাড়া গাজীর হয়ে রানের দেখা পেয়েছেন পারভেজ রসুল। ৫৪ বলে তিনটি চারের সাহায্যে করেছেন ৫৩ রান। মেহেদী হাসান ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রাইম দোলেশ্বরের সেরা বোলার ফরহাদ রেজা; পকেটে পুরেছেন ৪ উইকেট। দেলোয়ার হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর মোহাম্মদ এনামুল ও আরাফাত সানি দখল করেছেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা ভালো হয়নি প্রাইম দোলেশ্বরের। ওপেনার আব্দুল মজিদ খুলতে পারেননি রানের খাতাই। শফিউল ইসলামের বলে সরাসরি বোল্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নেয়ার চেষ্টা করেন শাহরিয়ার নাফীস ও ইমতিয়াজ হোসেন।
নাফীস থামেন ৩৬ রানে, আর ইমতিয়াজ করেছেন ৪২ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস সামিউল্লাহ শেনওয়ারির। জাকির আলী অনিক করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান। মোহাম্মদ এনামুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান। আরাফাত সানি অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।
গাজীর সেরা বোলার ৩ উইকেট শিকারি নাসির। শফিউল ইসলাম নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট লাভ করেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ, আবু হায়দার ও পারভেজ রসুল।
এনইউ/এমএস