জিয়ার ঝড়ে আবাহনীর প্রথম হার
ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারদর্শী। বাংলাদেশ জাতীয় দলেও পেস অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা হয়েছিল তার। বোলিংয়ের পাশাপাশি তার ব্যাটে রানের প্রত্যাশায় ছিলেন টাইগাররা। কিন্তু সে আশা পুরোপুরি বাস্তবে রূপ দিতে না পারায় জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে ফেলেন জিয়াউর রহমান।
তবে ঘরোয়া লিগে পারফর্ম করে যাচ্ছেন জিয়া। মাঝে মাঝে ব্যাট হাতে তোলেন ঝড়। আজ বুধবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামেও বইল জিয়ার ঝড়। আর সেই ঝড়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো হারের স্বাদ পেল আবাহনী। ম্যাচটিতে শেষ জামালের কাছে ৬ উইকেটে পরাস্ত হয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর হারল আবাহনী।
২৭০ রানের লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শেখ জামাল। দলীয় ১৪ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের আঘাতে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস (৮)। সেই ধুঁকধুকানি আরও বেড়ে গিয়েছিল ফজলে রাব্বির ইনজুরিতে। দারুণ ব্যাট করছিলেন। ৬৩ রান করার পর চোট পেলে আর ব্যাট করতে পারেননি। ফজলে রাব্বি মাঠ ছেড়েছেন এক রাশ হতাশা নিয়ে।
তবে দলকে ভালো অবস্থানেই রেখে গেছেন রাব্বি। পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা ভালো করেছেন। প্রসান্ত চোপরা করেছেন ৫৭ রান; মোসাদ্দেক হোসেনের শিকার তিনি। ১১ রান করা রাজিন সালেহ কাটা পড়েন রান আউটে। নুরুল হাসান সোহান সাজঘরে ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৪৬ রান করতেই সাকলাইন সজীবের বলে নাজমুল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক।
শেষ দিকে জিয়াউর রহমান ঝড় তুললে বড় জয়ই পায় শেখ জামাল। ৫৭ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭৩* রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন জিয়া। স্ট্রাইক রেট ১২৮.০৭! দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আবাহনীর পক্ষে একটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন ও সাকলাইন সজীব।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ রান। এই জুটি ভাঙে রান আউটে। দুর্ভাগ্যের শিকার ১৯ রান করা সাইফ হাসান। তবে অপর ওপেনার লিটস দাস ৮৫ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬২ রান করেছেন। তিনি সাজঘরে ফেরেন তানবির হায়দরাবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।
আবাহনী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ রান। তার ৬৬ বলের দায়িত্বশীল ইনিংসটি সাজানো দুটি চার ও তিনটি ছক্কায়। তানবির হায়দারের বলে সরাসরি বোল্ডআউট হয়ে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন সাজঘরে। শুভাগত হোম করেন ৩২ রান। সব মিলে ২৬৯ রানে অলআউট হয় আবাহনী।
শেখ জামালের সেরা বোলার তানবির হায়দার। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় দখলে নেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক ও শাহাদাত হোসেন। আর অলরাউন্ড পারফর্ম করা জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ১টি উইকেট।
এনইউ/এমএস