প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়বে তো!
ধারণা করা হচ্ছে লালমাটিয়ার পেস বোলার সুজন যিনি ওই ৪ ওভারে ৯২ রান দেয়ার অন্যতম রূপকার, তাকে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এদিকে সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগীদের ধারণা ও বিশ্বাস, শুধু দ্বিতীয় বিভাগের একজন বা দুজন তরুণ সম্ভাবনাময় বোলার কিংবা কোচ-ম্যানেজারকে কঠিন শাস্তি দিলেই এমন ঘটনা বন্ধ হবে না।
ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, বাজে আম্পায়ারিং, বিভিন্ন ক্লাব কর্তাদের প্রভাবে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের প্রতীকী প্রতিবাদেই লালমাটিয়ার সুজনরা অমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সেক্ষেত্রে শুধু সুজনরা শাস্তি পেলেই কি এমন ঘটনা বন্ধ হবে?
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগে এখন বেশ কিছু কর্মকর্তার দাপট চরমে। তারা বোর্ড শীর্ষ কর্তাদের খয়ের খাঁ। বোর্ড কর্তারাও কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট চালানোসহ ক্রিকেটীয় নানা কাজকর্ম পরিচালনায় ওই সব জুুনিয়র কর্তাদের স্মরণাপন্ন হন।
তারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এবং শীর্ষ কর্তাদের কথা বলে আম্পায়ারদের নিজ দলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেন। এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। তারই প্রতিবাদে কোনো কোন ক্লাব ক্রিকেটীয় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাঠে খেলার শাশ্বত সৌর্ন্দয ও স্পিরিট না মেনে অযাচিতভাবে দিন বা চার ওভারে ক্রমাগত ওয়াইড ডেলিভারি ছুড়ে চার ওভারে ৯২ আর ১.১ ওভারে ৬২ রান দেয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছেন। তাতে করে প্রকৃত দোষীরা আড়ালেই থেকে যাবেন।
আম্পায়াররা কার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়ে খেলার সৌন্দর্য নষ্ট করছেন? এসব বিষয়ও ঢাকা পড়ে যাবে কিনা? ইউনুস স্বীকার করেন, ‘হ্যাঁ, ক্লাব কর্তা বেড়েছে। সেটা ক্রিকেটীয় নিয়ম নীতি মেনেই বেড়েছে। তাদের কেউ কেউ হয়তো আম্পায়ারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।’
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই সব জুনিয়র লিগ কর্তা যারা, কাউন্সিলর এবং যাদের ভোট ও সমর্থন বোর্ড পরিচালনা পর্ষদ গঠনে রাখে বড় ভূমিকা। তাদের কি কিছু হবে? বোর্ড শীর্ষ কর্তারা কি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন?
এআরবি/এনইউ/আরআইপি