এশিয়াডে থাকছে না বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় সোনার ইভেন্ট ক্রিকেট!
এশিয়ান গেমসে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও একটি স্বর্ণপদক গলায় পরতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট। অবশেষে ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার পরই সেই আক্ষেপ ঘোচায় বাংলাদেশ। গুয়াংজু থেকে সেবারই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে কোনো স্বর্ণের পদক উপহার দিল ক্রিকেট। মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রথম স্বর্ণপদক গলায় পরে নেয় বাংলাদেশ।
এশিয়ান গেমস থেকে সেই ক্রিকেটকেই এবার বাদ দেয়া হলো। এশিয়ান গেমসের দুই আসরে ক্রিকেট থাকার পরই বাদ পড়তে যাচ্ছে। ২০১৮ ইন্দোনেশিয়া গেমসে আর থাকছে না উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলাটি। এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিল এর কারণ হিসেবে জানিয়েছে, ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্য। ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে এ খবর।
আয়োজকরা জানিয়েছে, ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্যে ২০১৮ ইন্দোনেশিয়া গেমসে ৪৩৯টি ইভেন্ট থেকে কমিয়ে আনা হচ্ছে ৪৩১টি উভেন্টে। যার মধ্যে বাদ পড়ছে ক্রিকেটও।
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক গেমস থেকে শুরু করে মহাদেশীয় গেমসগুলোতেও ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ কিংবা সংস্থাগুলোই ঐক্যবদ্ধ নয়। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেষ্টা করলে হয়তো অলিম্পিক গেমসের মতো আসরেও দেখা যেত ক্রিকেটকে। বরঞ্চ এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এবার সেটাকেও বাদ দিতে যাচ্ছে এশিয়ান অলিম্পিক কমিটি।
২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমসেই প্রথম ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মহিলা এবং পুরুষ দুই বিভাগেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে গেমসে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ক্রিকেট বিশ্বে যে এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্য নেই, সেটা বোঝা গেছে সেবারই। কারণ ২০১০ এবং ২০১৪ গেমসের ক্রিকেটে ভারতের মত দেশ অংশেই নেয়নি। তবে এশিয়ার অন্য দেশগুলো ক্রিকেটে অংশ নেয়। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার মত দেশও বেশ উদ্যম নিয়ে ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিল।
প্রথমবার বাংলাদেশ স্বর্ণ জিতলেও দ্বিতীয়বার ২০১৪ দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন গেমসে মাশরাফিরা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল বৃষ্টির কারণে। সেবার বাংলাদেশ ১১ ওভারে ৫৯ রান করার পর নামে বৃষ্টি। এরপর আর খেলা না হলে কয়েন নিক্ষেপে জয়ী নির্ধারণ করা হয়। যাতে ফাইনালে উঠে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে হংকংকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জেতে বাংলাদেশ।
আইএইচএস/জেআইএম