পাঞ্জাবকে হারিয়ে শীর্ষে ফিরল মুম্বাই
জস বাটলার ও নিতিশ রানার ব্যাটিং তাণ্ডবে বৃথাই গেল আমলার সেঞ্চুরি। এর দুইজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাবের দেওয়া ১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে মুম্বাই। আর এ জয়ে কলকাতাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে রোহিত শর্মার দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুভসূচনা করে পাঞ্জাব। উদ্বোধনী জুটিতে দলের স্কোরশিটে ৪৬ রান যোগ করেন দুই ওপেনার শন মার্শ ও হাশিম আমলা। ২১ বলে পাঁচটি চারে ২৬ রান করেন মার্শ। গ্লেন ম্যাকক্লেনেঘানের বলে কাইরন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অসি এই ওপেনার।
ঋদ্ধিমান সাহা সাবধানে পা ফেলছিলেন। কিন্তু পা ফসকে গেছে। ১৫ বলে করেন ১১ রান; ছিল না কোনো বাউন্ডারি। ক্রনাল পান্ডিয়ার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। অধিনায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তোলেন। ম্যাকক্লেনেঘানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৪০ রান। ১৮ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ম্যাক্সওয়েল।
এরপর মিচেল স্টইনিজ ১ রান করতেই বিদায় নেন। ম্যাকক্লেনেঘানের বলে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। হাশিম আমলা ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ৬০ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায়। আর আইপিএলে তো বটেই, টি-টোয়েন্টিতে আমলার এই প্রথম সেঞ্চুরির উপর ভর করে ১৯৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাঞ্জাব।
১৯৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পার্থিব প্যাটেল ও জস বাটলার উদ্বোধনী জুটিতে ৮১ রান তোলেন। ১৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করে মার্কাস স্টয়েনিসের বলে পার্থিব প্যাটেল বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাটলার ও নিতিশ রানা ৮৫ রান তোলেন। দলীয় ১৬৬ রানের মাথায় মোহিত শর্মার বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাটলার।
বাটলার আউট হলেও পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ১৫.৩ ওভারেই দলকে জয় এনে দেন নিতিশ রানা। রানা ৩৪ বলে ৭টি ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া।
এমআর/এমএস