বদ্রির হ্যাটট্রিকেও পরাজয় ঠেকাতে পারল না কোহলির বেঙ্গালুরু
১৪৩ রানের লক্ষ্য আইপিএলে একেবারেই মামুলি। চোখ বন্ধ করে এই রান টপকে যেতে পারবে যে কেউ; কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন এক স্যামুয়েল বদ্রি। ক্যারিবিয়ান এই লেগ স্পিনার ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ওপর। তৃতীয় ওভারেই পরপর তিন বলে ফিরিয়ে দেন তিন ব্যাটসম্যান প্যাটেল, ম্যাকক্লেনঘান এবং রোহিত শর্মাকে। ৭ রানেই নাই হয়ে যায় ৪ উইকেট।
বিরাট কোহলির ফেরার দিনে বুঝি দারুণ এক জয় পেতে যাচ্ছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু? এমন জ্বল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। তখনও বুঝি নিয়তি আড়াল থেকে হাসছিল! ক্রিকেট যে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা! সুতরাং, কাইরণ পোলার্ডকে থামাতে পারলেন না বদ্রি কিংবা বিনি, টাইমাল মিলসদের কেউ।
স্যামুয়েল বদ্রির বিধ্বংসী রূপ সত্ত্বেও ৪৭ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েই দিলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার কাইরণ পোলার্ড। সঙ্গে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন নিতিশ রানা এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া। নিতিশ রানা ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩০ বলে করেন ৩৭ রান।
১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭ রান তোলেন পার্থিব প্যাটেল আর জস বাটলার। এই ৭ রানে বসিয়েই একে একে চারজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান স্যামুয়েল বদ্রি আর স্টুয়ার্ট বিনি। এরপর নিতিশ রানাকে নিয়ে ২৬ রানের জুটি গড়েন পোলার্ড। ৩৩ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ার পর ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন পোলার্ড।
৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মেরে ৪৭ বলে ৭০ রান করে আউট হয়ে যান পোলার্ড। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তিনি। জয়ের কাজটা ততক্ষণে প্রায় সারা মুম্বাইর। বাকি কাজটা নিজের ভাই হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে সেরে ফেলেন ক্রুনাল। ৪ বলে ৯ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
আইএইচএস/পিআর