কেকেআরকে হারিয়ে প্রথম জয় মুম্বাইর
আইপিএলে রাতের ম্যাচে যত বড় স্কোরই হোক সেটা যে নিরাপদ নয়, তা নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গুজরাটের করা ১৮৩ রান তারা টপকে গিয়েছিল কোনো উইকেট না হারিয়েই। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১৭৮ রান তাই কোনোভাবেই নিরাপদ ছিল না কেকেআরের জন্য।
শেষ পর্যন্ত সেটাই প্রমাণ করে দিল স্বাগতিক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১৭৯ রানের লক্ষ্য ১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেট হারিয়ে পার হয়ে গেলো রোহিত শর্মার দল। কেকেআরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় পেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
শেষ তিন/চার ওভারেই মূলতঃ জয় তুলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। তার আগের ওভারে (১৯তম ওভারে) কেকেআরের বোলাররা দিয়েছে ১৯ রান। ১৮তম ওভারেও দিলো ১৯ রান। ১৭তম ওভারে দিয়েছে ১১ রান। মূলতঃ ডেড ওভারে ভালো বোলার না থাকার কারণেই হারতে হলো কেকেআরকে।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইয়ের সূচনাটা ছিল দারুণ। পার্থিব প্যাটেল আর জস বাটলার মিলে ৭.৩ ওভারেই গড়ে ফেলেন ৬৫ রানের জুটি। এ সময় ২৭ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান প্যাটেল। এর একটু পরই ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন জস বাটলার। এ সময় দলীয় রান ছিল ৭১। ৭৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রোহিত শর্মাও। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন নিতিশ রানা। তার সঙ্গী হতে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন ক্রুনাল পান্ডে, (১১), কাইরন পোলার্ড (১৭)। আবার ২৯ বলে ৫০ রান করে আউট হয়ে যান নিতিশ রানাও। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও ছিল তার ব্যাটে।
শেষ দিকে এসে ১১ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। মূলতঃ তার ঝড়েই জয় পেয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ঋষি ধাওয়ান যদি পান্ডিয়ার ক্যাচটা না ফেলতেন তাহলে, ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো। শেষ মুহূর্তে হরভজন সিং নেমে ১ রান করেন। ফলে ১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
কেকেআরের অনিকেত রাজপুত নেন ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। কুলদ্বীপ যাদব ১ উইকেট নেন ৩৫ রান দিয়ে। ট্রেন্ট বোল্ট ৩.৫ ওভারে দেন ৪৭ রান। ওভার প্রতি ১২.২৬ রান করে দেন দেন তিনি। ৪ ওভারে ৩৪ রান দেন ক্রিস ওকস।
আইএইচএস/