ওয়ার্নার ঝড়ে বিধ্বস্ত গুজরাট
উদ্বোধনী ম্যাচে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১৪ রান করেই ফিরে যান সাজঘরে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেটা আর করলেন না। দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যাট হাতে তুললেন ঝড়। আর ওয়ার্নার ঝড়ে বিধ্বস্ত হলো গুজরাট লায়ন্স। ম্যাচটি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জিতে নিয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। চলতি আসরে এটি চ্যাম্পিয়নদের টানা দ্বিতীয় জয়।
রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে হায়দারাবাদের বোলারদের তোপে পড়েন গুজরাটের ব্যাটসম্যানরা। নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ৭ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট। জবাবে ১৫.৩ ওভারেই (২৭ বল হাতে রেখে) জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
তবে লক্ষ্য তাড়া করতে নামা হায়দরাবাদের শুরুটা হয়েছিল ধাক্কা খেয়েই। ৯ রান করতেই প্রভিন কুমারের শিকারে পরিণত হন হায়দরাবাদ ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৮* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ময়েজেস হেনরিকস।
৪৫ বলে ৬টি চার ও চারটি ছক্কায় ৭৬* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। আর হেনরিকসও পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৩৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন হেনরিকস।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সানরাইজার্সের আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের ঘূর্ণি তোপের মুখে পড়ে গুজরাট লায়ন্স। ৩৫ থেকে ৫৭- এই ২২ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। এর মধ্যে তিনটিই নেন রশিদ খান। একটি ভুবনেশ্বর কুমার।
রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৫ রানে, সুরেশ রায়না ৫ রানে এবং অ্যারোন ফিঞ্চ ৩ রানে। মূলত গুজরাটের ব্যাটিংয়ের কোমরটাই ভেঙে দিলেন রশিদ খান। ২১ বলে ৩১ রান করে এর মধ্যে ফিরে যান জেসন রয়। ৫৭ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর দিনেশ কার্তিক আর ডোয়াইন স্মিথ ৫৬ রানের জুটি গড়েন।
তবে দলীয় ১১৩ রানের মাথায় গিয়ে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে উইকেট দিতে বাধ্য হন ডোয়াইন স্মিথ। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন তিনি। এর একটু পর ৩২ বলে ৩০ রান করে ফিরে যান দিনেশ কার্তিকও।
শেষ দিকে অভিষিক্ত বাসিল থাম্পির ৪ বলে ১০ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় লায়ন্সরা। রশিদ খান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার ২১ রান দিয়ে নেন ২টি এবং আশিস নেহরা ২৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
এনইউ/জেআইএম