ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মিসবাহর পথ ধরে ইউনিসের অবসর ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৭

মিসবাহ-উল হকের পথ ধরে এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার ইউনিস খান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন তিনিও। দু’দিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক।

করাচিতে অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে ইউনিস খান বলেন, ‘অনেকেই আমাকে বলেছিল এখনই অবসরের ঘোষণা না দিতে; কিন্তু আমি মনে করি এখনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সঠিক সময়।’ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এবার বিদায় জানালেন টেস্টকেও।

১৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করে এসে ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘প্রতিটি ক্রিকেটারের জীবনে এই দিনটা আসবেই। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি দেশকে সর্বোচ্চ আসনে নিয়ে যেতে। যাতে দেশের সঙ্গে আমার শিরও উঁচুতে থাকে। কোনো খেলোয়াড়ই সব সময় ফিট থাকে না। এমনকি দলের হয়ে খেলার জন্য অনুপ্রেরণাও সব সময় এক থাকে না। সুতরাং, এটাই সময় ইউনিসের মাঠ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই সেই সময়টা চলে আসবে এবং আমি অবসর নিয়ে নেবো।’

পাকিস্তান দলে সবচেয়ে সিনিয়র দুই ক্রিকেটার মিসবাহ-উল-হক এবং ইউনিস খান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে দু’জনের অভিজ্ঞতার যোগফল দাঁড়াবে ১৯০ প্লাস টেস্ট। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইফলকে পৌঁছাতে ইউনিস খানের প্রয়োজন মাত্র ২৩ রান। পাঁচ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে মিসবাহর প্রয়োজন আর ৪৯ রান।

নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে করাচিতে সাংবাদিকদের ইউনিস খান বলেন, ‘আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি, ক্রিকেট দিয়ে দেশের একজন ভালো শুভেচ্ছা দূত হতে এবং দেশের হয়ে এমনভাবে কাজ করতে চেয়েছি, যাতে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারি।’

অবসর ঘোষণার শেষ দিকে এসে একজন সাধারণ মানুষের মতই কিছু কথা বললেন ইউনিস খান। যদি কখনও কোনো ভুল করে থাকেন, তাহলে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন। ইউনিস খান বলেন, ‘আমি যদি পুরো ক্যারিয়ারে কোনো ভুল করে থাকি, কিংবা কোনো কিছু ভুলে যাই, কিংবা এমন কোনো কিছু করেছি যা করা উচিৎ হয়নি। তাহলে সবার কাছে অনুরোধ, প্লিজ আমাকে নিজেদের একজন মনে করে ক্ষমা করে দেবেন এবং সব ভুলে যাবেন।’

২০০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক ঘটে ইউনিস খানের। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মাঝে খেলেছেন ২৬৫টি ওয়ানডে। ৩১.২৪ গড়ে রান করেছেন ৭২৪৯। সেঞ্চুরি ৭টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৪৮টি। সর্বোচ্চ রান ১৪৪।

একই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট অভিষেক তার। এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ১১৫ টেস্ট। ৫৩.০৬ গড়ে ইউনিস খানের রান ৯৯৭৭। সেঞ্চুরি ৩৪টি। হাফ সেঞ্চুরি ৩২টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৩১৩। টি-টোয়েন্টি অভিষেক ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট, ব্রিস্টলে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। খেলেছেন ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২২.১০ গড়ে রান করেছেন ৪৪২। সর্বোচ্চ রান ৫১। হাফ সেঞ্চুরি মাত্র দুটি। তবে ইউনিস খানের নেতৃত্বেই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল।

আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন