নেইমারের মাইলফলকের ম্যাচে বার্সার বড় জয়
নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে ছিলেন না মূল তারকা মেসি। তবে দলকে এই প্রাণভোমরার অভাব বুঝতে দিলেন না অপর দুই তারকা নেইমার ও সুয়ারেজ। এই দুইজনের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে অবনমন অঞ্চলের দল গ্রানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। আর এ ম্যাচেই বার্সার হয়ে নিজের শততম গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে বার্সা। তবে স্বাগতিক গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফমেন্সে গোল বঞ্চিত হয় বার্সা। ম্যাচের ২৫ মিনিটে সুয়ারেজের শট ক্রসবারে লাগে আর তা থেকে ফিরতি বল নেইমার জালে পাঠালেও অফসাইডে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
বিরতির ঠিক আগে দলকে লিড এনে দেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুয়ারেজ। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে জর্দি আলবার বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান এই তারকা। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ২৩ গোল হল এই স্ট্রাইকারের।
বিরতি থেকে ফিরে বার্সার রক্ষণভাগের দুর্বলতায় সমতায় ফেরে স্বাগতিক গ্রানাডা। দ্রুত গতিতে বার্সা রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান ফরাসি মিডফিল্ডার বোগা। এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে নেইমার-সুয়ারেজরা। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৬৪ মিনিটে আবার দলকে লিড এনে দেন বদলি হিসেবে নামা আলকাসের।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে সুয়ারেজের উঁচু করে বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দলকে ফের এগিয়ে স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৮২ মিনিটে আগবো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। পরের মিনিটেই রাকিটিকের শট সাউনিয়েরের পায়ে লেগে নিজেদের জালে জড়ালে স্কোরলাইন ৩-১ হয়ে যায়।
শেষ পাঁচ মিনিটে আর দুটি গোলে সুযোগ পায় বার্সা। এর মধ্যে একবার নিজেই লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড। অবশেষে যোগ করা সময়ে জালের দেখা পান নেইমার। সুয়ারেজের পাস ফাঁকায় পেয়ে বার্সার হয়ে নিজের শততম গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এই জয়ের পর ২৯ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬৬, আর শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৬৮।
এমআর/জেআইএম